জাতিসংঘ দূত
মিয়ানমারে রক্তগঙ্গা ঠেকাতে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান
মিয়ানমারে ক্ষমতাসীন জান্তা এবং সাধারণ জনগণের মুখোমুখী অবস্থান যে কোনো সময় ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে বলে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা পরিষদকে সতর্ক করেছেন দেশটিতে নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ দূত ক্রিস্টেন শানার বার্গেন। সম্ভাব্য এই বিপর্যয় ঠেকাতে নিরাপত্তা পরিষদকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। রয়টার্স।
বুধবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদেশগুলোর সঙ্গে এক বৈঠকে ক্রিস্টেন শানার বার্গেন বলেন, ১ ফেব্রুয়ারি ক্ষমতা দখল করা মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দেশ চালাতে সক্ষম নয়; যে কারণে দেশটির পরিস্থিতি দিন দিন আরও খারাপ হবে বলেও সতর্ক করেছেন তিনি।
ক্রিস্টেন বলেন, ‘সম্মিলিত পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে সবকিছুকে বিবেচনায় নিন। এশিয়ার কেন্দ্রে বহুমাত্রিক বিপর্যয় রোধ করতে, মিয়ানমারের জনগণের জন্য যা উপযুক্ত এবং যেটা সঠিক সেটাই করুন।’ জাতিসংঘের এ দূত আরো বলেন বলেছেন, ‘আসন্ন রক্তবন্যার’ মতো পরিস্থিতি উল্টে দিতে পরিষদের উচিত ‘সম্ভাব্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের’ কথা বিবেচনায় নেওয়া।
জাতিসংঘের দূতের সঙ্গে বৈঠকের পর মিয়ানমারের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ; তবে আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মিয়ানমারে ক্ষমতাসীন জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা পরিষদ সামরিক কোনো পদক্ষেপ নেবে—এমন সম্ভাবনা কম।
কারণ, মিয়ানমারে আন্তর্জাতিক সামরিক অভিযান পরিচালনার ক্ষেত্রে শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছে নিরাপত্তা পরিষদের দুই স্থায়ী সদস্য চীন-রাশিয়া এবং অস্থায়ী সদস্য ভারত ও ভিয়েতনাম।
এদিকে দিন যতো যাচ্ছে, ততই সঙ্গীন হয়ে উঠছে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন জান্তা ও সাধারণ মানুষের মুখোমুখী অবস্থান। সম্প্রতি মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভকারীরা প্রকাশ্যে সামরিক বাহিনী প্রণীত সংবিধানের কপি পুড়িয়েছে।
মিয়ানমারে কারাবন্দিদের সহায়তাদানকারী সংস্থা অ্যাসিস্টান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারস (এএপিপি) ও স্থানীয় বিভিন্ন মিডিয়াসূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহতের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়ে গেছে।
বাংলাদেশ জার্নাল/নকি
