ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

মমতা-শুভেন্দুকে নির্বাচন কমিশনে নোটিস

মমতা-শুভেন্দুকে নির্বাচন কমিশনে নোটিস
মমতা-শুভেন্দু

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারীকে শোকজ নোটিস দিয়েছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। নোটিসে মমতার বিরুদ্ধে ধর্মের ভিত্তিতে ভোট চাওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে আনা হয়েছে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ। আনন্দবাজার।

মমতা অবশ্য নির্বাচন কমিশনের অভিযোগ নাকচ করেছেন; তবে নোটিস পাওয়ার পর শুভেন্দুর প্রতিক্রিয়া এখনও জানা যায়নি। গত ৩ এপ্রিল তারকেশ্বরে এক নির্বাচনী জনসভায় মুসলিম রাজ্যের মুসলিম ভোটারদের তৃণমূল কংগ্রেসের বাক্সে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘বিজেপি এলে মনে রাখবেন, সমূহ বিপদ। সবচেয়ে বেশি বিপদ আপনাদের।’

তারকেশ্বরের ওই জনসভায় পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নতুন দল ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ) নেতা আব্বাস সিদ্দিকিকেও কটাক্ষ করেছিলেন তিনি। আব্বাসের নাম উল্লেখ না করে বলেছিলেন, ‘সংখ্যালঘু ভাইবোন, আপনাদের কাছে হাতজোড় করে বলছি— ওই ছেলেটা বেরিয়েছে বিজেপির টাকা নিয়ে। ওর কথা শুনে সংখ্যালঘু ভোট ভাগ করবেন না।’

এরপরই বুধবার মমতা বন্দোপাধ্যায়কে নোটিস পাঠায় কমিশন। সেখানে তাকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতে বলা হয়। নয়তো কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দেয় নির্বাচন কমিশন।

ভারতের নির্বাচন আইন অনুযায়ী ধর্ম বা জাতপাতের ভিত্তিতে ভোট চাওয়া আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধির পরিপন্থী। কোনও প্রার্থীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ প্রমাণিত হলে জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী তার প্রার্থীপদ খারিজও করা যেতে পারে।

এদিকে মমতাকে নোটিস দেওয়ার একদিন পর বৃহস্পতিবার বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীকে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে নোটিস পাঠিয়েছে কমিশন। গত ২৯ মার্চ নন্দীগ্রামে ভোটপ্রচারের সময় মমতা বন্দোপাধ্যায়কে ‘বেগম’ ডেকে নির্বাচন কমিশনের কোপে পড়েছেন শুভেন্দু। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নোটিসের জবাব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাকে।

ভারতের নির্বাচন সংক্রান্ত আইনে বলা হয়েছে, নির্বাচনী প্রচারের জনসভায় প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের নীতি, কর্মসূচি, অতীত রেকর্ড ও কাজের সমালোচনা করা যাবে, কিন্তু প্রতিপক্ষ প্রার্থীকে ব্যক্তিগত আক্রমণ বা হেয় করে কথা বলা নির্বাচনী আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

শুভেন্দু অধিকারীকে দেওয়া নোটিসে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শুভেন্দু অধিকারী নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন— এই অভিযোগের প্রমাণ রয়েছে কমিশনের হাতে। মমতা বন্দোপাধ্যায় অবশ্য কমিশনের নোটিসে দমে যাননি। উল্টো বৃহস্পতিবার হাওড়ায় এক নির্বাচনী জনসভায় কমিশনের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আমাকে দশবার শোকজ করেও লাভ নেই। একই জবাব দেব। নন্দীগ্রামে মুসলিমদের যারা পাকিস্তানি বলেছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে ক’টা অভিযোগ হয়েছে? খালি তৃণমূলের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ?’

নন্দীগ্রামে নির্বাচনের আগে সেখানে মমতার প্রার্থিতা বাতিলের আবেদন জানিয়ে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাবে;ক ‘হেভিওয়েট’ নেতা ও মমতা বন্দোপাধ্যায়ের একসময়ের ‘ডান হাত’ শুভেন্দু অধিকারী। তবে বৃহস্পতিবারের নোটিস পাওয়ার পর শুভেন্দু অধিকারীর প্রতিক্রিয়া এখনও জানা যায়নি।

বাংলাদেশ জার্নাল/নকি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত