শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টেরও পদত্যাগ চান বিক্ষুব্ধ জনতা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ১০ মে ২০২২, ১৯:২৪ আপডেট : ১০ মে ২০২২, ২১:২৫
শ্রীলঙ্কায় প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসের পদত্যাগের একদিন পর মঙ্গলবার দেশব্যাপী কারফিউ অমান্য করে শত শত বিক্ষোভকারী সরকারবিরোধী বিক্ষোভ করেছেন।
১৯৪৮ সালে স্বাধীনতা লাভের পর দেশটিকে সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকটের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য তার ছোটভাই প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের সাথে প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দাকেও দায়ী করা হয়।
এ প্রেক্ষাপটে বিক্ষোভকারীরা শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতে প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের প্রবেশপথে তার ভাইয়ের পদাঙ্ক অনুসরণ করে পদত্যাগ করার দাবিতে বিক্ষোভ দেখান।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়, রাজাপাকসের অফিসের বাইরের এলাকাটি কয়েক সপ্তাহ ধরে হাজার হাজার মানুষের ভিড় দেখেছে। তবে সোমবারের সংঘর্ষের পর কঠোর কারফিউ জারি হওয়ার কারণে মঙ্গলবার সে সংখ্যা কয়েকশ’তে নেমে এসেছে।
স্থানীয় টেলিভিশন ফুটেজে দেখা গেছে, সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট গোতাবায়ার পদত্যাগের জন্য স্লোগান দিচ্ছেন এবং সোমবারের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত তাঁবুগুলো পুনর্নির্মাণ করছেন।
সোমবার রাতে জারি করা একটি সরকারি ডিক্রি মাহিন্দা রাজাপাকসের পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করে। এর জেরেই তার সমর্থকরা বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, সরকারপক্ষ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে এ পর্যন্ত প্রাণ গেছে সাতজনের। আহত হয়েছেন ২০০ জনেরও বেশি।
শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টের স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেবর্ধন মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট গোতাবায় রাজাপাকসেকে জরুরি ভিত্তিতে পার্লামেন্টের অধিবেশন ডাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
আনন্দবাজার অনলাইনের খবরে বলা হয়, মঙ্গলবার সকালে রাজপাকসের সরকারি বাসভবন ঘিরে ফেলেন বিক্ষোভকারীরা। পরে বিপুল সংখ্যক সেনা সদস্য রাজাপাকসের বাসভবনে উপস্থিত হয়ে তাকে সপরিবারে উদ্ধার করেন।
শ্রীলঙ্কার সেনাবাহিনীর এক শীর্ষ কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানান, বিক্ষোভকারীরা বিদায়ী প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের গেট ভেঙে ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ভোরেই সপরিবারে রাজাপাকসেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে, সে সম্পর্কে খোলসা করেননি তিনি। তবে সূত্র জানিয়েছে, ত্রিঙ্কোমালিতে নৌসেনাঘাঁটিতে আশ্রয় নিয়েছেন রাজাপাকসে।
চলমান সহিংস পরিস্থিতির মধ্যে শ্রীলঙ্কায় জারি করা হয়েছে সেনা শাসন। সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে মঙ্গলবার সেনা এবং পুলিশের হাতে ক্ষমতা তুলে দেয়া হয়।
বাংলাদেশ জার্নাল/টিটি