ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশে উত্তর কোরিয়ার ড্রোন

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ২৬ ডিসেম্বর ২০২২, ১৮:০৬

দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশে উত্তর কোরিয়ার ড্রোন
২০১৭ সালে উত্তর কোরিয়ার একটি ড্রোনকে ভূপাতিত করেছিল দক্ষিণ কোরিয়া। ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক কর্মকর্তারা বলছেন, উত্তর কোরিয়া তাদের পারস্পরিক সীমান্তে পাঁচটি ড্রোন উড়িয়েছে। যার মধ্যে একটি ড্রোন সীমান্ত পেরিয়ে ফিরে আসার আগে রাজধানী সিউলের উত্তর প্রান্তে উড়ে যায়।

দেশটির জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফ বলেছেন, গেয়ংগি প্রদেশের আশেপাশের সীমান্ত এলাকায় মানবহীন আকাশযান (ড্রোন) দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে। একটি যুদ্ধ বিমান এবং আক্রমণকারী হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়েছিল, কিন্তু হেলিকপ্টার থেকে ১০০ রাউন্ড গুলি ছুড়ে তাদের গুলি করতে ব্যর্থ হয়।

বিসিসি জানিয়েছে, অপারেশনে জড়িত দক্ষিণ কোরিয়ার একটি যুদ্ধবিমান, একটি কেএ-১ লাইট অ্যাটাক যুদ্ধ বিমান বিধ্বস্ত হয়, কিন্তু এর দুই পাইলট অক্ষত অবস্থায় রক্ষা পান।

বিমান বাহিনীর বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ইয়োনহাপের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিকটবর্তী শহর ওনজুতে একটি বিমান ঘাঁটি থেকে উড্ডয়নের পরপরই বিমানটি সিউলের পূর্বে হোয়েংসেং কাউন্টিতে মাটিতে পড়ে যায়।

দক্ষিণ কোরিয়ার একজন সামরিক কর্মকর্তা বলেছেন,স্থানীয় সময় সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় এ ড্রোনগুলিকে সীমান্ত অতিক্রম করতে দেখা গেছে। এসময় প্রায় এক ঘণ্টার জন্য ইঞ্চিওন এবং জিম্পো বিমানবন্দরে বিমানের উড্ডয়ন ও অবতরণ স্থগিত করা হয়।

কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যে এই অনুপ্রবেশ ঘটেছে, যেখানে এই বছর রেকর্ড সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা পরিচালনা করেছে উত্তর কোরিয়া।

দক্ষিণ কোরিয়ার এক সামরিক কর্মকর্তা সর্বশেষ আগ্রাসনকে পিয়ংইয়ংয়ের স্পষ্ট উস্কানি হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আমাদের সামরিক বাহিনী উত্তর কোরিয়ার উসকানিতে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে এবং দৃঢ়তার সাথে জবাব দিতে থাকবে।

জবাবে, দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী বলেছে যে তারা তাদের সামরিক স্থাপনাগুলির ছবি তোলার জন্য উত্তরে নজরদারি বিমান পাঠিয়েছে।

শেষবার উত্তর কোরিয়ার ড্রোন সীমান্ত অতিক্রম করেছিল পাঁচ বছর আগে ২০১৭ সালের জুনে, যখন দুই কোরিয়ার মধ্যে উত্তেজনা তাদের সর্বোচ্চ পর্যায়ে ছিল।

বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন উত্তর কোরিয়ার ড্রোনগুলি দক্ষিণ কোরিয়ার নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে কারণ সেগুলি দক্ষিণে গুপ্তচরবৃত্তি করতে এবং আক্রমণ শুরু করতে উভয়ই ব্যবহার করা যেতে পারে।

সূত্র: বিবিসি

বাংলাদেশ জার্নাল/এমআর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত