ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

যেভাবে শুরু হয়েছিলো আন্তর্জাতিক নারী দিবস

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ০৮ মার্চ ২০২৪, ১১:২৪

যেভাবে শুরু হয়েছিলো আন্তর্জাতিক নারী দিবস
ছবি: প্রতীকি

আন্তর্জাতিক নারী দিবস বর্তমানে বিশে^র প্রায় প্রতিটি দেশেই উদযাপন করা হয়। এ দিন উপলক্ষ্যে থাকে নানান আয়োজন। কিন্তু, কিভাবে শুরু হয়েছিলো দিনটি তা অনেকেরই অজানা। আজ সে বিষয়টিই তুলে ধরা হবে।

১৯০৮ সালে মূলত শ্রমিক আন্দোলন থেকেই শুরু হয়েছিলো আন্তর্জাতিক নারী দিবসের। সেসময় একসঙ্গে প্রায় ১৫ হাজার নারী যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরের রাস্তায় নেমে আসেন কর্মঘণ্টা কমানো, বেতন বৃদ্ধি ও ভোটের অধিকারের দাবিতে।

এর এক বছর পর সোশ্যালিস্ট পার্টি অফ আমেরিকা প্রথম জাতীয় নারী দিবসের ঘোষণা দেয়। পরবর্তীতে এই দিবসকে আন্তর্জাতিকভাবে পালনের চিন্তাটা মাথায় আসে নারী অধিকার নিয়ে কাজ করা আইনজীবী ও সমাজতান্ত্রিক কর্মী ক্লারা জেটকিনের।

১৯১০ সালে আইনজীবী ও সমাজতান্ত্রিক কর্মী ক্লারা জেটকিন কোপেনহেগেনে নারী শ্রমিকদের আয়োজিত এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তার এই চিন্তার কথা জানান। সেখানে ১৭টি দেশের ১০০ জন নারী উপস্থিত ছিলেন ও তারা সর্বসম্মতিক্রমে তার এই প্রস্তাব মেনে নেন।

তবে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত হয় অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, জার্মানি এবং সুইটজারল্যান্ডে। আর এই দিবসের শতবর্ষ উদযাপিত হয় ২০১১ সালে।

এর আগে, ১৯৭৫ সালে জাতিসংঘে দিবসটি উদযাপনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক রূপ পায়। আর ১৯৯৬ সালে প্রথমবার এই দিবসের একটা প্রতিপাদ্য ঠিক হয়। জাতিসংঘ সেবার দিবসটি পালন করে ‘অতীতের উদযাপন, ভবিষ্যত ঘিরে পরিকল্পনা’ স্লোগান নিয়ে।

৮ মার্চ কেন?

ক্লারা জেটকিন যখন এই দিনটি প্রস্তাব করেন তখন তিনি কোনো নির্দিষ্ট তারিখের কথা বলেননি। ১৯১৭ সালের আগ পর্যন্ত এই তারিখটিও নির্দিষ্ট ছিল না। সেবার যুদ্ধের সময় রাশিয়ান নারীরা ‘খাবার ও শান্তি’র দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। টানা চার দিন ধরে চলা সেই আন্দোলনে অবশেষে সেখানে জার শাসনের অবসান ঘটে ও অন্তবর্তীকালীন সরকার নারীদের ভোটের অধিকার মেনে নেয়।

যে দিন এই আন্দোলন শুরু হয় রাশিয়াতে সেদিন জুলিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী (সেসময় রাশিয়াতে জুলিয়ান ক্যালেন্ডার মেনে চলা হত) ছিল ২৩শে ফেব্রুয়ারি ও রোববার। আর এই দিনটা গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে ছিল ৮ মার্চ। এরপর থেকেই দিনটি আন্তর্জাতিক নারী দিবসের স্বীকৃতি পায়।

এদিন বেগুনি রং কেন পরা হয়?

আন্তর্জাতিক নারী দিবসের ওয়েবসাইট বলছে এদিনের রং হলো বেগুনি, সবুজ ও সাদা। বেগুনি রং ন্যায় বিচার ও মর্যাদার প্রতীক। সবুজ দিয়ে বোঝায় আশা ও সাদা মানে পবিত্রতা, যদিও এ নিয়ে বিতর্ক আছে। এই রংগুলো এসেছে ১৯০৮ সালে যুক্তরাজ্যের উইমেন্স সোশ্যাল অ্যান্ড পলিটিক্যাল ইউনিয়ন (ডব্লিউএসপিইউ) থেকে।

বাংলাদেশ জার্নাল/ এমএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত