ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

ট্রাম্প-পুতিন যোগসাজশ নিয়ে ডেমোক্রেটদের মামলা

ট্রাম্প-পুতিন যোগসাজশ নিয়ে ডেমোক্রেটদের মামলা

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আইনি মারপ্যাঁচে ফেলে দিল ডেমোক্রেটিক পার্টি। দেশটিতে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌঁড়ে হিলারি ক্লিনটনকে ক্ষতিগ্রস্ত করার দায়ে ট্রাম্পের প্রচারশিবির, রাশিয়া ও গোপন নথি ফাঁস করে আলোচিত ওয়েবসাইট উইকিলিকসের বিরুদ্ধের শুক্রবার মামলা করেছে দলটির ন্যাশনাল কমিটি।

ম্যানহাটনের ফেডারেল আদালতে দাখিল করা ডেমোক্রেটিক পার্টির আবেদনে বলা হয়েছে, ওই নির্বাচনে জয় পেতে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ট্রাম্পের প্রচার শিবির রাশিয়ার সহযোগিতা স্বাচ্ছন্দে গ্রহণ করেছে। ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনকে হারিয়ে ওই নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হন নিউ ইয়র্কের ব্যবসায়ী ট্রাম্প।

বিবিসির খবরে বলা হয়, শুক্রবার ম্যানহাটনের ফেডারেল আদালতে দাখিল করা ডেমোক্রেটিক পার্টির আর্জিতে বলা হয়েছে, ওই নির্বাচনে জয় পেতে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ট্রাম্পের প্রচার শিবির ‘রাশিয়ার সহযোগিতা সানন্দে’ গ্রহণ করে। ট্রাম্পের প্রচার শিবিরের সঙ্গে রাশিয়ার যোগসাজশের ওই অভিযোগ নিয়ে তদন্ত চলছে যুক্তরাষ্ট্রে। তবে ট্রাম্প এবং রশিয়া- দুই পক্ষই তা অস্বীকার করে আসছে।

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এর আগে জানিয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল যাতে ট্রাম্পের পক্ষে যায়, রাশিয়া সেই চেষ্টা করেছিল বলে তাদের ধারণা হয়েছে।

ডেমোক্রেটিক পার্টির ন্যাশনাল কমিটির চেয়ারম্যান টম পেরেজ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ওই নির্বাচনে তাদের প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের প্রচার শিবিরের সার্ভার হ্যাকিংয়ের ঘটনা ছিল একটি ‘নজিরবিহীন প্রতারণা এবং গণতন্ত্রের ওপর আঘাত’।

তাদের মামলায় ট্রাম্পের জামাতা জারেড কুশনার, রিপাবলিকান প্রচার শিবিরের স্ট্র্যাটেজিস্ট রজার স্টোন, সাবেক ক্যাম্পেইন চেয়ারম্যান পল ম্যানাফোর্ট ছাড়াও উইকলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে আসামি করা হয়েছে।

২০১৬ সালে ওই নির্বাচনের আগে মে মাসে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রচার শিবিরের সার্ভার হ্যাকারের কবলে পড়ার খবর আসে। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা ওই ঘটনায় রাশিয়ার হ্যাকারদের সন্দেহ করার কথা বলেন। জুলাই মাসে ডেমোক্রেটিক পার্টির ন্যাশনাল কনভেনশনের আগে আগে উইকিলিকস প্রায় ২০ হাজার ইমেইল ফাঁস করে দেয়, যেগুলো হ্যাকাররা সে সময় হাতিয়ে নিয়েছিল।

তবে ডেমোক্রেটদের এই মামলাকে ওয়াশিংটনের অনেকে নিছক লোকদেখানো রাজনৈতিক স্ট্যান্ট হিসেবেই দেখছেন। কেননা এর তদন্তে এমন কিছু আসার সম্ভাবনা কম, যা চলমান অন্য তদন্তে আসেনি।

সূত্র: বিবিসি

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত