ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

দুই নারীর শবরীমালায় প্রবেশ যেভাবে

দুই নারীর শবরীমালায় প্রবেশ যেভাবে

প্রথমবার চেষ্টা হয়েছিল দিনদশেক আগে। মন্দির ফটকের এক কিলোমিটারের মধ্যে পৌঁছেও তাদের ফিরে আসতে হয়েছিল সে দিন ‘ভক্ত’দের বাধায়। এবার আর মাথা নিচু করে ফেরা নয়। ইতিহাস তৈরি করেই ফিরেছেন ওই দুই নারী। এবার তাদের বয়ানেই শুনুন সেই বিজয়গাঁথা।

শবরীমালায় বুধবার কাকভোরে পৌঁছেছিলাম আমরা। মানে আমি আর কনকদুর্গা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরে নানাভাবে অন্তত তিন ডজন মহিলা চেষ্টা করেছেন মন্দিরে প্রবেশ করার। প্রতিবারই বাইরে তুলকালাম হয়েছে। শেষ পর্যন্ত আয়াপ্পা দর্শন হল আমাদের। কাউকে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। কিন্তু মহিলা ভক্তদের আটকানোর জন্য জোর করে যে বাধার প্রাচীর তোলা হচ্ছিল, সেটাই আমরা ভাঙতে চেয়েছিলাম। মন্দিরের ভিতরে কেউ কিন্তু বাধা দেননি। বিক্ষোভ বা হইচই যা হচ্ছে, সবই বাইরে।

রাজ্য সরকার আমাদের সব রকমের সাহায্য করেছে। নববর্ষের রাতে দেড়টা নাগাদ পৌঁছে গিয়েছিলাম বেস ক্যাম্পে। সঙ্গে আরও কিছু নারী ছিলেন। জঙ্গলের পথ বেয়ে মধ্যরাতে উপরে ওঠার সময়ে সাদা পোশাকের পুলিশ সঙ্গে ছিল। সোনার জলের মিনে করা মন্দিরের ১৮ ধাপ সিঁড়ি অবশ্য ভাঙিনি আমরা। ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ মন্দিরে পৌঁছে ভিআইপি গেট দিয়ে সোজা চলে গিয়েছি ভিতরে। আয়াপ্পা দর্শনের পরে সরকারি বাসে চেপে দ্রুত নেমেও এসেছি পম্পায়। তার পরে পাতানামতিট্টা জেলার সার্কিট হাউসে নিরাপত্তার ঘেরাটোপে।

বাড়িতে কাউকে না জানিয়েই আয়াপ্পা দর্শনে এসেছিলাম আমরা। জানিয়ে এলে পাছে পরিবার বাধা দেয়! বাড়ি থেকে না জানিয়ে চলে আসার কয়েক দিন পরে দুর্গার স্বামী পুলিশে নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলেন। খবর পেয়ে দুর্গাই যোগাযোগ করে স্বামীকে জানান, আমরা আপাতত ঘাপটি মেরে আছি! এখন খবর পেয়েছি, মন্দির দর্শনের পরে মলপ্পুরম জেলায় দুর্গা এবং কোঝিকোড়ে আমাদের বাড়ির বাইরে পাহারা বসেছে।

আমাদের শাবরিমালায় প্রবেশ নিয়ে কেরালা জুড়ে বিক্ষোভ, বিতর্ক চলছে এখনও। তবে আমাদের স্বস্তি, নারীদের সমানাধিকারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে থাকা প্রাচীরটা ডিঙানো গেছে, ভেসে গেছে সব কুসংস্কার।

সূত্র: আনন্দবাজার

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত