ঢাকা, বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

কাশ্মীরে ভয়াবহ মানবধিকার লঙ্ঘন, গভীর উদ্বেগে জাতিসংঘ

কাশ্মীরে ভয়াবহ মানবধিকার লঙ্ঘন, গভীর উদ্বেগে জাতিসংঘ

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের ওপর থেকে বিশেষ মর্যাদা দাননকারী সংবিধানের ৩৭০ ধারাটি তুলে নেয়ার পর কার্যত অবরুদ্ধ রয়েছে সেখানকার বাসিন্দারা। এ অবস্থায় তাদের ওপর নির্মম নিপীড়ন চালাচ্ছে সেনারা। এ নিয়ে গভীর গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের প্রধান মিশেল ব্যাচেলেট।

সোমবার এক বিবৃতিতে মিশেল বলেন, গতমাসে জম্মু- কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদাকে বাতিল করার পর ভারত সরকার যেভাবে ওই রাজ্যের বাসিন্দাদের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে রেখেছে, তাতে সংস্থাটি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

মানবাধিকার কাউন্সিলের ৪২তম অধিবেশনের উদ্বোধনী ভাষণে ওই মন্তব্য করেন জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট।

এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বিধিনিষেধ আরোপ ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের আটকে রাখাসহ কাশ্মীরিদের মানবাধিকার নিয়ে ভারত সরকারের সাম্প্রতিক পদক্ষেপের প্রভাব সম্পর্কে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।

তিনি ভারত সরকারের প্রতি কাশ্মীরের ওপর দীর্ঘদিন ধরে অরোপিত কারফিউ তুলে নেয়া এবং সেখানকার নাগরিকদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা এবং ওই রাজ্যে লোকজনের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

বর্তমানে কাশ্মীরে যেসব নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে তাদের মুক্তি দেয়া এবং সেখানকার বাসিন্দাদের মানবাধিকারের প্রতিও শ্রদ্ধা জানানোর দাবি জানান মিশেল। কাশ্মীরের ওপর যে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় মোদি সরকারকে সেখানকার জনগণের সঙ্গে পরামর্শ করার পরামর্শ দিয়ে মিশেল বলেন, কেননা ওইসব সিদ্ধান্ত গ্রহণের ফলে তাদের ভবিষ্যতের উপরে প্রভাব পড়বে।

কাশ্মীরের পাশাপাশি আসামের জাতীয় নাগরিকপঞ্জি বা এনআরসি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের প্রধান মিশেল ব্যাচেলেট। তিনি বলেন, আসামে এই এনআরসির মাধ্যমে অবৈধ অভিবাসীদের চিহ্নিত করার লক্ষ্যে যে চরম অনিশ্চয়তা ও উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে তা নিয়েও জাতিসংঘ মানবাধকার কমিশন চিন্তিত।

প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট অকস্মাৎ কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দানকারী ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারাটি তুলে নেয়ার ঘোষণা দেয় মোদি সরকার। এরপর থেকে সেখানে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। অনেক এলাকায় এখনও বলবৎ আছে কারফিউ। আটক করা হয়েছে হাজার হাজার রাজনৈতিক নেতাদের। বিচ্ছিন্ন রয়েছে টেলিফোন ও ইন্টারনেট যোগাযোগ। বিদেশি তো দূরের কথা, ভারতের অন্য রাজ্য থেকেও কোনো সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী বা বিরোধী দলীয় নেতাদের সেখানে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। কেবল ক্ষতাসীন দল বিজেপির নেতা কর্মীদের সেখানে যেতে দেয়া হচ্ছে, যারা কাশ্মীরে স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করার কথা জানিয়ে সেখানে নানা পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করছেন। এ অবস্থায় দিন কয়েক আগে কাশ্মীরের নিরীহ গ্রামবাসীদের ভারতীয় সেনাদের ওপর নির্মম নির্যাতনের খবর ছাপা হয়েছে খোদ ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলোতেই।

এরপরই এই বিবেৃতি দিলেন জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের প্রধান মিশেল ব্যাচেলেট।

মিশেল ব্যাচেলেট

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত