ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

‘ঘুম ভেঙে দেখি ছেলের বালিশের ওপর বিশাল গোখরা’

‘ঘুম ভেঙে দেখি ছেলের বালিশের ওপর বিশাল গোখরা’

প্রতিদিনের মতো সেদিন রাতেও দুই সন্তানকে নিয়ে ঘুমাতে গিয়েছিলেন গৃহবধূ মানজালি (৩৯)। মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর তিনি আতঙ্কে বাকরুদ্ধ হয়ে যান। দেখেন, তার ছেলের বালিশের পাশে ফনা তুলে আছে বিশাল এক পদ্মগোখরা।

এই ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের সুলতানপুর এলাকার এক গ্রামে।

স্থানীয় এক সংবাদ মাধ্যম জানায়, সোমবার রাতে প্রতিদিনের মতোই ছেলে আর মেয়েকে নিয়ে ঘুমিয়েছিলেন গৃহবধূ মানজালি। আর ক্যাবচালক স্বামী ছিলেন বাইরে। রাত ১টার দিকে মোবাইল ফোনের অ্যালার্ম শুনে ঘুম ভেঙে যায় মানজালির। তিনি বিছানা থেকে নেমে ঘরের লাইট জ্বালান। এরপর আতঙ্কে তার গায়ের লোম দাঁড়িয়ে যায়। কেননা তার ছেলের বালিশের পাশে পড়ে আছে ৬ ফুট লম্বা বিষাক্ত এক গোখরা সাপ। তিনি দ্রুত বাইরে ছুটে যান এবং সাহায্যের জন্য প্রতিবেশীদের ডাকতে থাকেন।

কিন্তু তাদের বাড়িটা গ্রামের একদম শেষ মাথায় হওয়ায় কারো কাছে তার আর্তচিৎকার পৌঁছাতে পারেনি। তখন তিনি স্বামী রাজেশ কুমারকে ফোন করে ঘটনাটি জানান।

খবর পেয়ে দ্রুত বাড়ি ফিরে আসেন রাজেশ। আসার পথে গ্রামের কয়েকজনকে ডেকে আনেন। বাড়ি ফিরে দেখেন স্ত্রী ভয়ে কাঁপছে। তখনও গভীর ঘুমে কাতর তার ছেলেমেয়ে দুজন। তখন তিনি মেয়েকে তুলে বাইরে নিয়ে আসেন। এরপর ছেলেকে ডাকেন। ছেলের সাহস আছে বলতে হবে! সে সাপটিকে দেখেও কোনো চিৎকার না করে অতি সাবধানে বিছানা ছাড়ে। যাতে তার বালিশের পাশে থাকা সাপটি একটুও টের না পায়। এসময় ভয়ে কুঁকড়ে ছিলেন রাজেশ আর তার স্ত্রী মানজালি। যদি সাপটি ফোস করে উঠে চেলেকে ছোবল দেয়! কিন্তু কোনো অঘটন ছাড়াই রাজেশের দুই ছেলেমেয়ে ঘরের বাইরে আসতে সক্ষম হয়।

এরপর সাপটিকে তাড়ানোর চেষ্টা করেন রাজেশ। কিন্তু তার সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। তখন তিনি এক ফরেস্ট অফিসারকে ফোন দেন। ফোন পেয়ে বন বিভাগ থেকে একজন ছুটে আসেন। তখনও সাপটি কম্বলের ওপর কুণ্ডলী পাঁকিয়ে পড়েছিলো। ওই লোক দীর্ঘ আধ ঘণ্টা চেষ্টার পর সাপটিকে একটি বস্তায় ভরে ফেলতে সক্ষম হন।

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত