ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

সিআইএ কর্মকর্তার কারণে ফাঁসলেন ট্রাম্প!

সিআইএ কর্মকর্তার কারণে ফাঁসলেন ট্রাম্প!

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বিতর্কিত ফোনালাপের ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর অভিশংসনের মুখে পড়তে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচনের আগেই এ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তিনি।

ওই ফোনালাপ থেকে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে আগামী বছর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে পুনরায় জিততে টেলিফোনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সাহায্য চেয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই অভিযোগ উঠার পর তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের স্পিকার ন্যান্সি পেলসি। তদন্তে দোষী সাব্যস্থ হলে ইমপিচমেন্ট বা অভিশংসনের মুখে পড়বেন ট্রাম্প।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম বলছে, বিতর্কিত ওই ফোনালাপ ফাঁসের নেপথ্যে ছিলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র এক কর্মকর্তা। তিনি একসময় হোয়াইট হাউসেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

ফোনালাপ বিতর্ক তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুই কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ওই তথ্য ফাঁসকারীকে সিআইএ কর্মকর্তা হিসেবে প্রথমে শনাক্ত করে নিউইয়র্ক টাইমস। পরে রয়টার্স আলাদাভাবে সেটা নিশ্চিত হয়।

তবে ওই তথ্য ফাঁসকারীর আইনজীবী মার্ক জিয়াদ যিনি ট্রাম্পের অভিশংসন তদন্তে তার প্রতিনিধিত্ব করছেন, তিনি তার মক্কেলের পরিচিতি কিংবা পেশার বিষয়টি নিশ্চিত করতে অস্বীকার করেছেন।

এবার অভিযোগ, আগামী বছর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে ডেমক্র্যাটিক দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী এবং প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেনকে ফাঁসাতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লদিমির জেলানস্কির সাহায্য চেয়েছিলেন ট্রাম্প। ইউক্রনের একটি গ্যাস কোম্পানিতে উচ্চ বেতনে কাজ করতেন হান্টার বাইডেন।

২০২০ সালের নির্বাচনে প্রেসিডেন্টের পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ব্যাপারে মনোনয়ন প্রার্থীদের মধ্যে বাইডেন সবার আগে রয়েছেন এবং তিনিই হতে পারেন ট্রাম্পের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী।

ফলে হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে ইউক্রেন সরকার তদন্ত শুরু করলে স্বাভাবিকভাবেই দুর্নীতির অভিযোগে ফেঁসে যেতে পারেন বাইডেন ও তার ছেলে। এতে লাভবান হবেন ট্রাম্প। এর আগে ২০১৬ সালে নির্বাচনের সময় ব্যক্তিগত কাজে সরকারি ইমেইল ব্যবহারের অভিযোগ উঠার পর কোণঠাসা হয়ে পড়েন ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী হিলারি। আর নির্বাচনে জিতে যান ট্রাম্প।

মঙ্গলবার পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে পেলসি বলেন, ‘আজ, আমি হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভে দাঁড়িয়ে আনুষ্ঠানিক অভিশংসন তদন্তের ঘোষণা দিচ্ছি। প্রেসিডেন্টকে অবশ্যই জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়।’

তিনি আরো বলেন, প্রেসিডেন্ট আজ পর্যন্ত যা করেছেন তাতে গুরুতরভাবে সংবিধান লংঘন করা হয়েছে।

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত