ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

নতুন বছরকে বরণ করতে কুয়াকাটায় পর্যটকের ভিড়

  উত্তম কুমার হাওলাদার

প্রকাশ : ০১ জানুয়ারি ২০২০, ০২:২৮

নতুন বছরকে বরণ করতে কুয়াকাটায় পর্যটকের ভিড়

নতুন বছরের আগমনকে ঘিরে সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের বেলাভূমি সাগর কন্যা কুয়াকাটার সৈকতে উৎসব মুখর পরিবেশে বিরাজ করছে। ইংরেজী পুরনো বছরকে বিদায় আর নতুন বছর বরণ করতে দেশী-বিদেশী হাজারো পর্যটক জড়ো হয়েছে সৈকতে। তীব্র শীত উপেক্ষা করে সমুদ্রের ঢেউয়ের সাথে নেচে গেয়ে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেছে তারা। আবাসিক সংকট ও অতিরিক্তি ভাড়া নিয়ে অনেকের অসন্তোষ থাকলেও নিরাপত্তা আর আতিথিয়তায় মুগ্ধ পর্যটকরা। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে বলে প্রশাসনের সূত্রে জানা গেছে।

বিভিন্ন দর্শনীয় স্পট ঘুরে দেখা গেছে, পর্যটকদের আগমনে সর্বত্রই উৎসবের আমেজ বইছে। আবাসিক হোটেল, খাবার হোটেল, ঝিনুকের দোকান, শুটকির দোকানসহ পর্যটনমূখী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বেচা-কেনার ধুম পড়ে গেছে।

দেশী- বিদেশী পর্যটকদের আগমন সৈকতে একটি বাড়তি আকর্ষণ ছিল। আনন্দের এ স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য অনেকেই নিজ নিজ ব্যবহৃত মোবাইল সেট ও ক্যামেরায় ছবি ধারণ করে রেখেছে। ঠাণ্ডা বাতাস বইলেও ওইসব পর্যটকরা সমুদ্রের ঢেউয়ের সাথে দীর্ঘ সময় ধরে উল্লাস করে গোসল করছেন অনেকেই। এ সময় অনেককেই ছোট ছোট নৌকা নিয়ে সাগরে ভেসে বেড়াতে দেখা গেছে।

একাধিক হোটেল কর্তৃপক্ষ জানান, থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষ্যে পর্যটকদের ব্যাপক চাপ রয়েছে। আগামী দু’চার দিন এরকম চাপ থাকবে। এখনো হোটেল মোটেলগুলোতে বুকিং চলছে।

পর্যটক মো. মাইনূল ইসলাম বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, শহরের এক ঘেয়ে জীবন থেকে একটু পরিত্রান পেতে স্বপরিবারে কুয়াকাটায় এসেছি। এখানে প্রকৃতির গড়া নির্মল শোভা আমাদেরকে মুগ্ধ করেছে। বিশেষ করে রাখাইন বৌদ্ধ মন্দির, রাখাইন মার্কেট ও তাদের জীবনযাত্রা, এখানে ভেসে আসা পুরানো নৌকা, গঙ্গামতির লেক, টেংরা গিরির বন ও ফাতরার বনাঞ্চলসহ বেশ কয়েকটি স্পট ঘুরে দেখেছি। এছাড়া শুটকি পল্লীতে জেলেদের জীবনযাত্রা ছিল ভিন্ন রকম। বছরের শেষ সূর্যদয় সাগরের মাঝখানে নিমজ্জিতও হতে দেখেছি। আশা করি ২০২০ সালের প্রথম সূর্যোদয় দেখব।

অপর এক পর্যটক মামুন-অর রসিদ বলেল, সূর্যাস্তের মনোলোভা দৃশ্য যে সমস্ত ক্লান্তি দূর করে দিয়েছে। এখানকার ছবি আমার ফেইসবুকেও আপলোড করে দিয়েছি।

কুয়াকাটা ট্যুরিষ্ট পুলিশ জোনের সিনিয়র এএসপি মো.জহিরুল ইসলাম বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষে কুয়াকাটায় নিরাপত্তা ব্যাবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ, জেলা পুলিশ ও মহিপুর থানা পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে মোতায়েন রয়েছে। সৈকতে পর্যটকদের চলাফেরা নির্বিঘ্ন করতে এবং যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সার্বক্ষনিক নজরদারীতে রাখা হয়েছে।

উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো.মুনিবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, উশৃঙ্খল লোকজন যেন কোন ধরনের বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত