ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

গর্ভাবস্থায় যে বিষয়গুলোতে সতর্ক থাকবেন

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৮ অক্টোবর ২০১৮, ০২:৪৪

গর্ভাবস্থায় যে বিষয়গুলোতে সতর্ক থাকবেন

শুনে যতটাই সহজ মনে হোক না কেন! আদতে মা হওয়া কিন্তু একেবারেই সহজ কাজ নয়। কারণ জীবনের এই বিশেষ মুহূর্তে ভাবী মায়ের শরীরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে কানও সময় পরিস্থিতি খারাপ দিকে মোর নিতে সময় লাগে না। তাই তো শারীরিক দেখভালের পাশাপাশি নিজের এবং বাচ্চার শরীরকে চাঙ্গা রাখতে আরও বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলা একান্ত প্রয়োজন। তবে এই নিয়নগুলির উল্লেখ কোনও ডাক্তারি শাস্ত্রে কিন্তু পাবেন না, পাবেন বাস্তুশাস্ত্রের উপর লেখা একাধিক বইয়ে।

নিশ্চয় ভাবছেন বাস্তুশাস্ত্রের সঙ্গে প্রেগন্যান্সির কী সম্পর্ক, তাই তো! আসলে বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে গৃহস্থের অন্দরে পজেটিভ শক্তির যেমন হদিশ পাওয়া যায়, তেমনি নেগেটিভ শক্তির উপস্থিতিকেও উপেক্ষা করা সম্ভব নয়। আর কোনও কারণে যদি খারাপ শক্তির মাত্রা বাড়তে শুরু করে, তাহলে কিন্তু বেজায় বিপদ! কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে গৃহস্থের অন্দরে নেগেটিভ শক্তির প্রভাব বাড়লে মা এবং বাচ্চার শরীরের উপর মারাত্মক খারাপ প্রভাব পরে। কিছুক্ষেত্রে তো মিসক্যারেজ এবং অন্যান্য জটিলতা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। তাই তো গর্ভাবস্থায় বেশ কিছু বাস্তু নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। আসলে এই নিয়মগুলি মানলে চারিদিকে শুভ শক্তির মাত্রা এতটা বেড়ে যায় যে প্রসবকালীন কোনও সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার সম্ভাবনা কমে।

শোয়ার ঘর বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে ভাবী মার ভুলেও উত্তর-পূর্ব দিকের ঘরে শোওয়া উচিত নয়। কারণ এমনটা করলে মা হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণের পথে নানাবিধ বাঁধা আসার আশঙ্কা বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে মিসক্যারেজের সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পায়। আসলে ঘরের উত্তর-পূর্ব কোনে শুলে গৃহস্থের অন্দরে শক্তির ভারসাম্য বিগড়ে যেতে শুরু করে, যার প্রভাব সরাসরি পরে মায়ের শরীরের উপর। তাহলে প্রশ্ন হল, মাকে বাড়ির কোন দিকের ঘরে শোওয়া উচিত? বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে ভাবী মা যদি দক্ষিণ-পশ্চিম কোনের ঘরে শোন, তাহলে দারুন উপকার পাওয়া মেলে।

সিঁড়ির অবস্থান এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে ভাবী মা যে বাড়িতে রয়েছেন সেই বাড়ির একেবারে মাঝামাঝি যদি সিঁড়ি বা কোনও ভারি জিনিস থাকে, তাহলে প্রেগন্যান্সি সংক্রান্ত নানাবিধ সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার সম্ভাবনা হ্রাস পায়। তাই মা হওয়ার স্বপ্ন যদি পূরণ করতে চান, তাহলে ভুলেও এমন বাড়িতে থাকবেন না যেন!

অন্ধকার নৈব নৈব চ ভাবী মা এবং বাচ্চার শরীরকে যদি সুস্থ রাখতে হয়, তাহলে মা যেখানে থাকবেন, সেখানে যেন প্রচুর মাত্রায় আলো থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কারণ বাস্তুশাস্ত্রে এমনটা দাবী করা হয় যে ভাবী মা যদি অন্ধকারে থাকেন, তাহলে বাচ্চার শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হয়। শুধু তাই নয়, মায়ের শরীরও ভাঙতে শুরু করে। তাই এই বিষযটি খেয়াল রাখা একান্ত প্রয়োজন!

যুদ্ধের কোনও ছবি নয় প্রেগন্যান্সির নয় মাস ভুলেও বেড রুমে যুদ্ধ বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ সম্পর্কিত কোনও ছবি রাখবেন না যেন! কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই ধরনের ছবি মায়ের শোয়ার ঘরে রাখলে বাচ্চার উপর খারাপ প্রভাব পরে। সেই সঙ্গে বাড়িতে নেগেটিভ এনার্জির মাত্রা এতটা বেড়ে যায় যে নানা ধরনের ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পায়।

বনসাই বা ক্যাকটাসের মতো গাছ বাড়িতে রাখবেন না বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে বাড়িতে এই ধরনের গাছ রাখলে যে শুধু ভাবী মায়ের উপর খারাপ প্রভাব পরে, এমন নয়। সেই সঙ্গে একের পর এক খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। শুধু তাই নয়, অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাও বাড়তে থাকে। তাই মা এবং বাচ্চার ভাল চান তো বাড়িতে থাকা বনলাই এবং ক্যাকটাস গাছগুলিকে আজই বাইরে বার করে দিন। দেখবেন ফল পাবেন একেবারে হাতে-নাতে!

প্রণায়ম করা মাস্ট প্রেগন্যান্সির সময় শরীরের অন্দরে হরমোনের ক্ষরণ ঠিক রাখতে ভাবী মাকে প্রতিদিন প্রাণয়ম করতে হবে। শুধু তাই নয়, খেয়াল রাখতে হবে মা যেন বাড়ির উত্তর-পূর্ব কোনের ঘরে বসে এই কাজটি করেন। কারণ এমনটা করলে শরীরের উপকার তো হবেই, সেই সঙ্গে গৃহস্থের অন্দরে শুভ শক্তির এত মাত্রায় বিকাশ ঘটবে যে কোনও ধরনের খারাপ ঘঠনা ঘটার আশঙ্কা একেবারে কমে যাবে।

ফুলের মহিমা ভাবী মা দিনের বেশিরভাগ সময় যে ঘরে কাটান, সেখানে ২-৩ টে ফ্লাওয়ার ভাসে তাজা ফুল রেখে দিলে সমগ্র বাড়ির পরিবেশটাই বদলে যাবে। শুধু তাই নয়, পজেটিভ শক্তির মাত্রা এতটাই বেড়ে যাবে যে তার সুফল মায়ের শরীরের উপরও পরবে। ফলে প্রসবকালীন কোনও সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কা হ্রাস পাবে।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত