ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১১ মিনিট আগে
শিরোনাম

স্ত্রীর জন্মদিন ভুললেই ডিভোর্স!

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১০ জানুয়ারি ২০১৯, ১৫:০৭  
আপডেট :
 ১০ জানুয়ারি ২০১৯, ১৫:৪৪

স্ত্রীর জন্মদিন ভুললেই ডিভোর্স!

ভালোবাসার একটি সুন্দর পরিণতি হলো বিয়ে। তবে সব বিয়ের সম্পর্কই স্থায়ী হবে এমন নয়। বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে আছে নানা বিচিত্র সব নিয়ম ও আইনকানুন। জানেন সে সব কী কী?

আমেরিকার ২৬টি প্রদেশে চাচাতো, মামাতো সম্পর্কের ভাইবোনদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হতে পারবে এবং তারা চাইলে বিয়েও করতে পারেন। তবে সে ক্ষেত্রে তারা সন্তানধারণ করতে পারবেন না। পরবর্তী প্রজন্মের জিনগত ও শারীরিক সমস্যা কমাতেই কাজিন ভাইবোনের মধ্যে বিয়েতে সন্তানধারণের জন্য এমন বিধিনিষেধ রয়েছে সে সব প্রদেশে।

মৃত মানুষকে স্বামী বা স্ত্রীর স্বীকৃতি দিয়ে বিয়ে করার নিয়ম আছে ফ্রান্সে। তবে সে ক্ষেত্রে দেশের প্রেসিডেন্টের অনুমতি লাগে। শুধু তা-ই নয় মৃত মানুষটি যে আপনাকে ভালবাসতেন ও বিয়ে করতে চাইতেন বা তার সঙ্গে আপনার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল তারও প্রমাণ দিতে হয়।

বিয়ের ঘোষণা দেয়ার আগে দুইটি রবিবার-সহ মোট দশ দিন হাতে রাখতে হবে। মোনাকোর নিয়ম অনুযায়ী অনেক মানুষ আসে এমন কোনো টাউন হলের দেয়ালে নিজেদের বিয়ের কথা নোট লিখে জানাতে হবে। তার পরেই বিয়ে করতে পারবেন হবু স্বামী-স্ত্রী তা না হলে সে বিয়ে বৈধ নয়!

আপনার সঙ্গী কি বোকা। শুধু এটাই যথেষ্ট বিবাহবিচ্ছেদের জন্য! আমেরিকার মিসিসিপি প্রদেশে স্বামী বা স্ত্রীর চূড়ান্ত বোকামি আদালতে প্রমাণ করতে পারলেই বিবাহবিচ্ছেদ হবে।

এক বছর চলে যাবে এমন পরিমান শুকনো মটরশুঁটি, শুকনো আপেল, মাংস ও উলের ব্যবস্থা করে দিতে পারলেই স্বামী তার স্ত্রীকে ছেড়ে যেতে পারেন। আমেরিকার টেনেসি প্রদেশে বিবাহবিচ্ছেদ পেতে গেলে এগুলো করতে হবে।

স্ত্রীর জন্মদিন প্রতি বছরই ভুলে যান? তবে আপনি যদি ওসিয়ানিয়ারসামোয়া রাষ্ট্রের নাগরিক হতেন তবে এই কারণেই হতে পারতো আপনার ডিভোর্স। অর্থাৎ স্ত্রীর জন্মদিন ভুললেই ডিভোর্স ফাইল করার অধিকার পেয়ে যান স্ত্রী। তবে স্ত্রী যদি তার স্বামীর জন্মদিন ভুলে যান কিন্তু এমন নিয়ম চলবে না।

কলোরাডোয় স্ত্রীর সঙ্গে যে দিন খুশি ঝগড়া করুন কিন্তু রবিবার নয়। এমনকি স্ত্রী চাইলে রবিবার তার সঙ্গে ঝগড়া করার জন্য স্বামীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে পারেন। এতে স্বামীর জেলও হতে পারে!

ফিলিপিন্সে বিয়েকে খুবই গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়। তাই বিবাহবিচ্ছেদ পাওয়ার অনুমতি নেই সেখানে। তবে বিশেষ কোনো ক্ষেত্রে ভিন্ন থাকার অনুমতি দিলেও সম্পূর্ণ বিচ্ছেদ একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।

বিবাহবিচ্ছেদের জন্য মনের কষ্ট বা অসুখী দাম্পত্য যথেষ্ট নয় ব্রিটেনে। এখানে ডিভোর্স পেতে গেলে কোনো খারাপ ব্যবহার, অসহনীয় ঘটনা, মানসিক বা শারীরিক অত্যাচার ইত্যাদি ধরণের কারণ থাকতেই হবে।

ভবিষ্যৎ দেখা একেবারেই নিষিদ্ধ লুইজিয়ানার নিউ ওরলিয়ান্সে। এমনকি, নবদম্পতির উদ্দেশে তাদের বিবাহিত জীবন নিয়ে কোনো ভবিষ্যদ্বাণী করাও এখানে আইনবিরোধী।

আরএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত