ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

সঙ্গী শপিং করতে না চাইলে যা করবেন

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ০৭ জুলাই ২০১৯, ১২:৫২  
আপডেট :
 ০৭ জুলাই ২০১৯, ১৩:০২

সঙ্গী শপিং করতে না চাইলে যা করবেন

কেনাকাটা করতে ভালোবাসেন অথচ জীবনসঙ্গী মোটেও শপিং সেন্টারের দিকে পা বাড়াতে চান না। বাড়ির ছোটখাট কিছু জিনিস কিনেই তার দায় শেষ। আর আপনাকেই নিতে হচ্ছে কেনাকাটার সব দায়িত্ব?যেহেতু কোরবানির ঈদের বেশি দিন বাকি নেই তাই অনেকেই এখন থেকে ছুটির দিনগুলোতে শপিং- এ বের হচ্ছেন। কিন্তু আপনার বেলায় কি একেবারেই বিপরীত।

অনেক ক্ষেত্রে আবার খুব জোর করে শপিং করতে নিয়ে গেলেও সারা রাস্তা তিনি মোটেও উপভোগ করেন না। ফলে কেনাকাটার মেজাজও হয় নষ্ট। আবার দেখা যায় দরদাম করার অভ্যাস বা অনেক দোকান ঘুরে শেষে একটা জিনিস কেনার স্বভাবের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেন না আপনার সঙ্গী।

আর সেখানেই শুরু হয় মনোমালিন্য। তাই কেনাকাটায় সঙ্গী হতে কোনো বন্ধু বা সহকর্মীকে অনুরোধ আবার কখনও একাই যেতে হয়। তবে পছন্দ-অপছন্দের বিষয়ে আরো এক জনের মতামত পেলে কেনার কাজটা সহজ হয়।

এতক্ষণ তো জানলেন সমস্যার কথা এবার জেনে নিন সমাধান। কারণ কেনাকাটায় সঙ্গীর আগ্রহ বাড়িয়ে তুলতে পারেন আপনিও। শপিং মল হোক বা বাজার এলাকা, জিনিসপত্র কিনতে আপনার সঙ্গীও যাতে সহজেই যেতে রাজি হন, তার জন্য আপনাকেও মেনে চলতে হবে কিছু কৌশল।

কৌশল

প্রচুর দোকান ঘুরে একটা জিনিস কিনলেন, এমন অভ্যাস থাকলে তা আগে ত্যাগ করুন। দরকারে প্রতিটা জিনিস কেনাকাটার জন্য আগেভাগেই একটা নির্দিষ্ট সময় সেট করে রাখুন। খুব ঘড়ির কাঁটা মিলিয়ে না হলেও চেষ্টা করুন সেই সময় অনুযায়ী কেনাকাটা করতে।

শুধুই নিজের জিনিস বা বাড়ির প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনবেন না, সঙ্গী গেলে তারও কাজে লাগবে এমন কিছু কিনুন। তার শখের কোনো জিনিসও কিনতে পারেন।

দোকানে গিয়ে এমন দরদাম করবেন না যাতে সঙ্গী লজ্জায় পড়েন। অনেকই দরদামে অভ্যস্ত নন বা খুব একটা দরদাম পছন্দও করেন না। আপনার সঙ্গীও তেমন হলে তাকে সঙ্গে নিয়ে কেনাকাটা করতে বের হলে এই অভ্যাস কমান।

কেনাকাটার মাঝে মাঝেই বিরতি নিন। শপিংয়ের মাঝে একটা সিনেমা দেখতে পারেন বা দুইজনের পছন্দের কোনো রেস্টুরেন্টে খাওয়াদাওয়ার পরিকল্পনাও করতে পারেন।

শুধুমাত্র প্যাকেট ভরা জামাকাপড় বা কেনাকাটার ব্যাগ নেয়ার জন্য সঙ্গীকে সঙ্গে নেবেন না। ওজন বুঝে জিনিসপত্র ভাগাভাগি করে নিন।

শপিং-এ গিয়ে সাংসারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া বা জটিলতা নিয়ে আলোচনায় যাবেন না। অনেক হাঁটাহাঁটির অভ্যাস ত্যাগ করুন। অনেক জিনিস অনেক সময় ধরে কেনাকাটার পরিকল্পনা থাকলে মাঝে মাঝেই কোনো না কোনো যানবাহনের সাহায্য নিন।

নিজের জিনিস কেনার সময় সঙ্গীর পছন্দকে কতটা গুরুত্ব দেন ও তার ইচ্ছা আপনার কাছে কতটা জরুরি সেটা তাকে বোঝান। নিজের গুরুত্ব বুঝলে অনেক সময় তিনি রাজি হবেন কেনাকাটায় যেতে।

কেনাকাটার খরচ যদি সঙ্গী বহন করেন, তা হলে তার পক্ষে কতটা খরচ করা সম্ভব সে সম্পর্কে ধারণা রাখুন। হিসাব না করে খরচ করবেন না। এই অভ্যাসও সঙ্গীর কাছে বিরক্তিকর হতে পারে।

আরএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত