একগুচ্ছ কবিতা
নাজমুস সামস
প্রকাশ : ১১ জানুয়ারি ২০২১, ২১:৩১ আপডেট : ১১ জানুয়ারি ২০২১, ২১:৪০
মন খারাপ
মন খারাপ হলে বুঝতে পারি
দু:খরা আওয়াজ দিচ্ছে
এই যে চারদিকে এত যে কষ্ট কান্না
ব্যাথারা মুখ ভেংচিয়ে নিয়ে যায়
মেঘের বদ্বিপে
তবু প্রতিদিন কারো পথ চেয়ে আজানুলম্বিত ইচ্ছারা দীর্ঘ শ্বাস ফেলেতোমার চোখের ছায়ায় ঘুমিয়ে পড়তে গিয়ে হারিয়ে যাই কষ্টের তেপান্তরে
হায় বাইল্লা, হুস যা বলে ঈশ্বর ও চাদের টেম্পারিং করে
অযাচিত কষ্টে আমরাও জোসনার মত গলে গলে পরিযে তাবু হৃদয়ে টানিয়ে শুয়ে থাকি তার নিচে রামদা কিরিচের ঝনঝনানি নীল বেদনা আনে।
বাড়ি
টি টুয়েন্টি বৃষ্টিতে ভিজে গিয়েছিলাম তোমার বাড়ি
হাতভর্তি ছেলের হাতের প্রেম
নিয়ে ফিরছিলাম ভালোবাসার বেডকভারেকুশনের মাঝখানে বেডকভার নিয়ে যারা ঘুমায় পাসপোর্ট সাইজের বর্ষায়
তারা আজ ঘুমিয়ে মুক্তি পাওয়া যায় তাদের জন্য নিদ্রারা আসবেনা লেট করে।
লেট এডিশনে আর ছাপা হবে না নিদ্রাদেবীর নাম।
শ্বস কষ্টে ভুগতে থাকা
দেবী এবার ব্রেক ফাস্ট করবে নিশ্চিত বেলের সরবত।
লেকের পাশে পড়া তার এলো প্রতিবিম্বে লাজুক মন জেব্রা ক্রসিং করে
আবহাওয়া
জোসনাও হাওয়ই দেয়া শিখে গেছে আজকাল। নদীর পাড়ে
গেলে জলের চাঁদও থাপ্পর দেয় বাষ্টার্ড বলতে বাধে না তার
তুমি আমি রয়ে গেছি শুদ্ধস্বর রবীন্দ্রসঙ্গীতে আকন্ঠ ডুবে ভুলে গেছি
বদলে যাওয়ার অভিধান। এতো যে ভাঙচুর চারিদিকে তা দেখে কপাল
কুচকানো বিটোফেন লুঙি ড্যান্স দেয় গরম আবহাওয়ায়
হোমওয়ার্ক
বুঝছেন না বলে চাদঁ হাতে ধরিয়ে দিলো ইক্ষুর রস
আমি ইক্ষুর রস পান করতে থাকলে
চাঁদ আমাকে বুঝালো আমাদের নিজেদের
মার্কেটিং করতে শিখতে হবে, হতে হবে নিজেদের এস.আর.
জানতে হবে গরীবকে আরো গরীব করার তত্ত¡।
ওরাই তো আমাদের বড়লোক হওয়ার সিড়ি।
সুতরাং কি করলে ওদের পকেট করতে হয়
জানতে হবে তার অংক
করতে হবে প্রচুর হোমওয়ার্ক
শুন্য
তুমি আমি শুয়ে আছি দু:স্বপ্নের দৌড়ের উপর
যারা আমাদের স্বপ্নচুরি করে
হয়ে গেছে কুবেরের হাইরাইজ বিল্ডিং
তাদের পাপে শিশিরেরও বেল নাই ঘাসের উপর
ধরেছ ভালোই দরিদ্রের ফ্রুটোময় বেশ
যার আদরে হতাশা কত কথা বলে রে,
জাপানি বেয়ারিং এও থামেনা তার তেল।
প্রতিদিন আত্মহত্যার কুইক রেন্টালে ভালোবাসার জামিন না মঞ্জুর হয়ে যায়।বাংলাদেশ জার্নাল/এমএম