ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২০ মিনিট আগে
শিরোনাম

উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণা করতেন ফিরোজ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৯ জুন ২০২২, ১৫:৪১

উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণা করতেন ফিরোজ

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে ফিরোজ কবীর (২০) নামে এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সিআইডি বলছে, উপবৃত্তি ও করোনাকালে অনুদান দেয়ার কথা বলে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নিতেন তিনি।

মঙ্গলবার রাতে রংপুরের পীরগঞ্জ থানা এলাকা থেকে ফিরোজ কবীরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বুধবার দুপুরে মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) মুক্তা ধর।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে সরকারি বিভিন্ন বিভাগের বিশেষত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা পরিচয়ে মোবাইলে আর্থিক লেনদেনের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে প্রতারণার ঘটনা সংঘঠনের তথ্য পাওয়া যায়।

মুক্তা ধর বলেন, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের পরিচয়ে অভিনব কায়দায় প্রতারণার বিষয়গুলো বিভিন্ন সময় দেশজুড়ে বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি। এ প্রতারণার সঙ্গে জড়িত চক্র শনাক্ত ও তাদের কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে অনুসন্ধান করে আসছে সিআইডি। এরই ধারাবাহিকতায় একাধিক প্রতারকচক্রকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়।

সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, ভিক্টিম ও বিভিন্ন উৎস থেকে প্রতারকচক্র সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য সরেজমিনে সংগ্রহ করা হয়। পরে সংগৃহীত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় মঙ্গলবার রাতে রংপুরের পীরগঞ্জ থানা এলাকা থেকে ফিরোজ কবীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ফিরোজ এ প্রতারকচক্রের অন্যতম হোতা।

গ্রেপ্তারকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে মুক্তা ধর বলেন, তিনি অভিযোগ স্বীকার করেছেন। তার নেতৃত্বে ৩/৪ সদস্যের একটি সংঘবদ্ধ প্রতারকচক্র মোবাইলে আর্থিক লেনদেনের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে নিজেদের উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণা করে আসছিল।

তিনি আরও বলেন, চক্রের সব সদস্যের সম্মিলিত প্রয়াসে ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা’ পরিচয়ে প্রতারণার কাজটি অত্যন্ত সুনিপুণভাবে করতো তারা। ভিক্টিমের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের পরপরই যোগাযোগ বন্ধ করে দিতো।

চক্রের সদস্যরা প্রথমে বিকাশের দোকান থেকে নম্বর সংগ্রহ করে। এরপর উপবৃত্তির কথা বলে ফোনে মেসেজ পাঠায়। মেসেজ পেয়ে ভুক্তভোগীরা যোগাযোগ করলে নানা কৌশলে বিকাশের গোপন পিন নম্বর নিয়ে টাকা উত্তোলন করতো বলেও জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।

বাংলাদেশ জার্নাল/এফজেড/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত