১০৫ বছর বয়সেও থামেনি যার লেখনী

শতবর্ষ পার করেছেন আগেই৷ ১০৫ পেরিয়েও ব্লগ লিখে চলেছেন সুইডেনের ডাগনি কার্লসন৷ তিনি বলেছেন,বুদ্ধিমান বুড়োমানুষও যে থাকতে পারে, সেটা অধিকাংশ মানুষই বিশ্বাস করতে চায় না৷

ডাগনির ব্লগ ফ্যানদের সংখ্যাও অগণিত। তিনি বলেন, ভাবতেই অবাক লাগে যে, মাত্র নয় দশ বছরের বাচ্চারও আমার লেখা পড়ে কমেন্ট লিখেছে৷

জয়পুরহাটে কৃষক হত্যায় ১৯ জনের যাবজ্জীবন

শতবর্ষের জন্মদিনে আত্মীয়রা ডাগনিকে একটি কম্পিউটার উপহার দেন৷ সেটা পেয়েই দ্রুত চালানো শিখে নিয়েছিলেন৷ তারপরেই ইন্টারনেট দুনিয়ায় প্রবেশ৷ বিভিন্ন সাইট ঘাঁটাঘাঁটি করা নিত্য অভ্যাসে পরিণত হতে বেশি দেরি হয়নি৷ ক্রমশ ব্লগ দুনিয়ায় প্রবেশ করেন ডাগনি৷ এরপরেই শুরু তার চমকের৷

বিভিন্ন বিষয়ে ব্লগ লিখে এখন তিনি সুইডেনের একজন নামকরা ব্লগার৷ ব্লগ দুনিয়ায় তার থেকে সবাই বয়সে ছোট বলেই ধারণা৷ কারণ শতবর্ষ পার করে নেট দুনিয়ায় আর কারও সরব উপস্থিতির কথা জানা যায় না৷

সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর কফি আর খবরের কাগজ ছাড়া ডাগনি কার্লসনের চলে না৷ একশ পাঁচ বছর হয়ে গেলেও তার জীবনীশক্তি বা জানার ইচ্ছায় একটুও ভাটা পড়েনি৷ জানিয়েছেন, কাল যে আমার মরণ হতে পারে, সেকথা ভাবি না৷ মৃত্যু তো আসবেই৷ ডাগনির কৌতূহলের বিষয় অনেককিছু৷ ছোট্ট ফ্ল্যাটের বাইরে কী ঘটছে তা জানতে দিনের অনেকটা সময় ইন্টারনেটেই কাটান তিনি৷ তখনই চলে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তার ব্লগ লেখা৷

এই শতবর্ষী জানান, কম্পিউটার আমার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে৷ কম্পিউটার থাকায় আমার বান্ধবীদের সঙ্গে আলাপ করতে পারি৷ খবর পড়তে পারি৷ একদিন আমার ব্লগ বন্ধ থাকলে সবাই সঙ্গে সঙ্গে ভাবে – আমি আর বেঁচে নেই৷

শুধু খবর পড়ে মজা নেই, তাই ডাগনি কার্লসন ব্লগ লিখতে শুরু করেছেন৷ তার নিজের ডিজিটাল ডায়েরি লেখেন ৷ নাম দিয়েছেন: ‘ব্লগা মেট মে’ অর্থাৎ আমার সঙ্গে ব্লগ করো৷ মজা করে জানিয়েছেন, ব্লগ লেখার সময় কোনো নির্দিষ্ট বিষয়বস্তুর দরকার নেই – যা মন চায়, তাই লিখতে পারি৷ কিন্তু আমার ১০৫ বছর বয়স না হলে সেদিকে কেউ তাকাত না৷

সুইডেনের প্রবীণদের জন্য আদর্শ হয়েছে ডাগনির ব্লগ৷ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাকে সম্মান জানানো হচ্ছে৷ এতে খুব খুশি ১০৫ বছর বয়সী এই নারী৷ প্রায় ২,০০০ ইউরো পরিমাণ পুরস্কারের অর্থ ডাগনি তার জন্মদিনের পার্টির জন্য খরচ করবেন বলে স্থির করেছেন৷

বাংলাদেশ জার্নাল/এসএস