ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

ইইউবিতে ‘করোনা পরবর্তী ক্যারিয়ার চ্যালেঞ্জ’ বিষয়ে ভার্চ্যুয়াল আলোচনা

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১১ অক্টোবর ২০২০, ০৩:৩২  
আপডেট :
 ১১ অক্টোবর ২০২০, ১৬:৫৯

ইইউবিতে ‘করোনা পরবর্তী ক্যারিয়ার চ্যালেঞ্জ’ বিষয়ে ভার্চ্যুয়াল আলোচনা

ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর বিজনেস অ্যাডমিন্সট্রেশন ডিপার্টমেন্টের উদ্যোগে ‘করোনা পরবর্তী ক্যারিয়ার চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক ভার্চ্যুয়াল গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক রিলেশন অফিসার রাশিদা স্বরলিপির সঞ্চালনায় ভার্চ্যুয়াল গোলটেবিল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন- ডাইরেক্টর-ফ্যাকাল্টি ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশনের অ্যাসোসিয়েট ডিন বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ড. ফারজানা আলম, ফুয়াং ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার কাজী রাফি, বাংলাদেশ জার্নালের ভারপ্রাপ্ত নিউজ এডিটর জোবায়ের আহমেদ নবীন, তেজগাঁও কলেজের শিক্ষক ইসরাত আলী, ইইউবির সিনিয়র লেকচারার মুশফিকা বিনতে কামাল, ইইউবির সিনিয়র লেকচারার, খন্দকার রাহাত মোর্শেদ।

আলোচনায় ড. ফারজানা আলম বলেন, আমরা এমন একটা সময়ে আছি যারা চাকরি ক্ষেত্রে আছি তাদের অনেকে চাকরি হারাচ্ছেন। কারণ নিউ নরমল জীবনে চাকরির বাজার ছোট হয়ে আসছে। যারা নতুন চাকরিতে প্রবেশের চেষ্টা করছেন তাদের জন্য সামনের দিনগুলো আরো বেশি চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু ক্যারিয়ার চ্যালেঞ্জ সব সময় ছিল। আমি যতদূর জানি যে, ক্লাস সেভেন থেকে ক্যারিয়ার প্ল্যানিং বা ক্যারিয়ার কাউন্সিলিং কোর্স শুরু হয়। উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে বিজনেস অ্যাডমিন্সট্রেশন ডিপার্টমেন্টও ঠিক এ কাজটি করে। আজকের আলোচনায় যারা অংশ নিচ্ছেন তারা প্রত্যেকে যে যার জায়গা থেকে শিক্ষার্থীদের সঠিক পরামর্শ দেয়ার পাশাপাশি তাদের সঙ্গে যুক্ত থাকার উদ্দেশ্যে আজকের আয়োজন।

মুশফিকা বিনতে কামাল বলেন, করোনা পরবর্তী পৃথিবীতে আমরা টেকনিক্যালি অনেক বেশি আপডেটেড, যেটা আগে ছিলাম না। ট্রেডিশনালি আমাদের যে শিক্ষাব্যবস্থা ছিলো সেখান থেকে আমাদের নতুন দিকে যাত্রা শুরু হয়েছে। ক্লাস পদ্ধতি এখন ডিজিটাল, এতে শিক্ষার্থীরা দেশ বিদেশের বিভিন্ন ভার্চ্যুয়াল ট্রেনিংয়েও সহজে যুক্ত হতে পারছে। শিক্ষার্দের এ সুযোগ গ্রহণ করা উচিত।

আলোচনায় জোবায়ের আহমেদ নবীন বলেন, কর্মক্ষেত্র পরিবর্তন হলেও নিজের সঙ্গে থাকে জ্ঞান বা নলেজ। প্র্যাকটিক্যাল এবং থিওরিটিক্যাল নলেজের মধ্যে অনেক বড় একটি গ্যাপ আছে। প্র্যাকটিস করতে করতে মানুষ অভিজ্ঞ হয়, আর যে পড়াশোনা করে আসে সে কর্মক্ষেত্রে এসে প্রাকটিক্যাল নলেজ অর্জন করে। দুটোর সংমিশ্রণ যখন ঘটে তখন একজন মানুষ তার কাজের জন্য পারফেক্ট হওয়ার কাছাকাছি পৌঁছায়। পুরোপুরি পারফেক্ট হওয়ার জন্য এ নলেজ বা জ্ঞানের সঙ্গে ভালোবাসার সংমিশ্রণ ঘটানো জরুরি।

ইসরাত আলী বলেন, অনলাইনে ক্লাস নেয়া হচ্ছে এটা শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী সবার জন্যই নতুন অভিজ্ঞতা। এর জন্য ডিজিটাল ডিভাইস উভয়েরই দরকার হচ্ছে। এ সময়ে একজন শিক্ষক বা একজন শিক্ষার্থীর কাছে ডিজিটাল ডিভাইস না থাকা মানে পুরো সিস্টেম থেকে ঝরে পড়া। সঙ্গে ইন্টারনেটের সংযোগতো থাকতে হবেই। শিক্ষার্থীদের একটা বড় অংশ থাকে গ্রামে। তাদের জন্য ইন্টারনেট সুনিশ্চিত করা না গেলে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধ করা সম্ভব হবে না। এ জন্য সরকারকে আন্তরিক ভূমিকা পালন করতে হবে।

রাশিদা স্বরলিপি বলেন, সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ আলোচনায় অংশ গ্রহণের জন্য। আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর মাননীয় ভিসির উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ওয়ালটনের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি করে ডিজিটাল ডিভাইস সরবরাহ সহজ করা হয়েছে। এবং চলমান পরিস্থিতি মোকাবিলা করে ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে টিকে থাকতে পারে সেজন্য টিউশন ফিয়ের ‍উপর ৫০%ছাড় দেয়া হয়েছে। এছাড়া, ভর্তি ফি কমানো হয়েছে ৩০%। ভালো সময়ের জন্য অপেক্ষা আমাদের সবার। আজকের আলোচনা থেকে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবেন বলে আশা করছি।

কাজী রাফি বলেন, কর্মক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন এসেছে এটা শুধু আমাদের দেশে নয়, সারা বিশ্বের বাস্তব চিত্র। দেশে আমাদের মতো বড় প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। অনেক ছোট প্রতিষ্ঠান আস্তে আস্তে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এখন আমরা যখন ১০জন প্রার্থী চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দিচ্ছি অনন্তপক্ষে এক হাজার প্রার্থী আসছেন। এর বড় কারণ ফ্যাক্টরি-ইন্ডাস্ট্রির ক্ষেত্রে সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট ভেঙ্গে পড়েছে। জাতীয়ভাবে এ সংকট মোকাবিলা করার জন্য আমাদের নিজেস্ব যেসব রিসোর্স আছে, সেসব জায়গায় বিনিয়োগ করা প্রয়োজন। সরকারের সঙ্গে ব্যক্তি উদ্যোক্তা যারা আছেন তাদের এসব খাতে বিনিয়োগ করতে হবে। অনেকের হাতে টাকা আছে কিন্তু তাদের চিন্তা হচ্ছে এ টাকা নিয়ে দেশের বাইরে চলে যেতে হবে, এ মেন্টালিটি থেকে আমাদের বের হতে হবে। তার সঙ্গে উদ্যোক্তাবান্ধব আইন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে সরকারকে।

খন্দকার রাহাত মোর্শেদ বলেন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এখন অনলাইনে ফ্রি-অব কস্টে অনেক ট্রেনিং অফার করছে, আমরা মনে হয় শিক্ষার্থীদের এসব ভার্চ্যুয়াল ট্রেনিংয়ে অংশগ্রহণ করা উচিত। এ কোর্সগুলো তাদেরকে জব ফিল্ডে নিজেকে যোগ্য হিসেবে প্রমাণ করতে সহায়তা দেবে। তবে মনে রাখতে হবে, এখন জব মার্কেটে অনেক বেশি প্রয়োজন কমিউনিকেশন স্কিল এবং প্রেজেনটেশন স্কিল। এর জন্য প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের বিকল্প নেই।

বাংলাদেশ জার্নাল/আর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত