অর্থ লুট করতেই ইভিএম ব্যবহার করছে ইসি: রিজভী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ জানুয়ারি ২০২০, ১৩:২০
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ কমিশনের ইভিএম ব্যবহারের মূল লক্ষ্য অর্থ লুটপাট এবং মিডনাইট সরকারের প্রার্থীদের ডিজিটাল ভোট ডাকাতির মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি বানিয়ে দেয়া।
রোববার রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের নির্লজ্জ মোসাহেব প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ কমিশনের ইভিএম ব্যবহারের মূল লক্ষ্য অর্থ লুটপাট এবং মিডনাইট সরকারের প্রার্থীদের ডিজিটাল ভোট ডাকাতির মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি বানিয়ে দেয়া। আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে, এই তাবেদার নির্বাচন কমিশন ইভিএমের মাধ্যমে এবার ডিজিটাল ভোট ডাকাতির আয়োজন করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, দেশের নিবন্ধিত প্রায় সকল রাজনৈতিক দলের ঘোরতর আপত্তি সত্ত্বেও জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত এবং অর্থ হরিলুটের জন্য ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন দিয়ে ভোট করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বর্তমান নির্বাচন কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনের আজ্ঞাবহ জীবনাদর্শের জন্য গণতন্ত্র আজ কবরে।
তিনি আরও বলেন, শুধু রাজনৈতিক দল নয়, ইসির টেকনিক্যাল কমিটি, নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী সংগঠনসমূহ, দেশের সচেতন মহল ও একজন নির্বাচন কমিশনারের বর্তমান ইভিএম ব্যবহারে বিরোধীতা থাকলেও সরকারের আজ্ঞাবহ কমিশন তা আমলে নেয়নি। প্রতিবেশী ভারতের চেয়ে ১১ গুন বেশি টাকায় ইভিএম ক্রয় করে ভোটারদের উপর জবরদস্তি করে চাপিয়ে দেয়ার আয়োজন চলছে।
রিজভী আরও বলেন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র আড়াই হাজারের মতো। ভোটকক্ষ প্রায় ১৪ হাজার। প্রতিটি কক্ষে তারা একটি করে ইভিএম ব্যবহার করতে চায়। সেই হিসাবে ১৪ হাজার ইভিএমের প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু গত ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের (এনআইডি) মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, নির্বাচনে ৩৫ হাজার ইভিএম ব্যবহার করা হবে।
অতিরিক্ত ২১ হাজার ইভিএম কোথায় ব্যবহার করা হবে? ইসির বক্তব্য অনুযায়ী ব্যাকআপ হিসাবে ৫০ শতাংশ মেশিন যদি রাখাও হয় তাহলে প্রতি কক্ষের জন্য অতিরিক্তসহ মোট ২১ হাজার ইভিএম লাগার কথা। কিন্তু দেখা যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন আরো ১৪ হাজার ইভিএম অতিরিক্ত প্রস্তুত করে রাখছে। এটি রাখার মূল উদ্দেশ্য হলো ভোটের আগেই ভোটের ফলাফল প্রস্তুত করা, বলেন রিজভী।
ইসিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমরা আবারো আহ্বান জানাচ্ছি ইভিএমের মাধ্যমে নির্বাচনের পথ থেকে এখনি সরে আসুন। অন্যথায় পদত্যাগ করুন। তা না হলে আপনাদের মাস্টারপ্ল্যানের নির্বাচনের বিরুদ্ধে জনগণ সমুচিত জবাব দেবে।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ব্যক্তিহিংসার শিকার হয়ে গুরুতর রোগে-শোকে-ব্যথা-বেদনায় মূমুর্ষ অবস্থায় বন্দী হয়ে আছেন। সরকারের মদদে বেগম জিয়ার গুরুতর অসুস্থতা গোপন করা হচ্ছে। তার সুচিকিৎসারও সুযোগ দেয়া হয়নি। বিনা চিকিৎসায় বেগম জিয়া অনেকটাই চলৎশক্তিহীন হয়ে পড়েছেন।
বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে