প্রতিবেদন দেখে সিদ্ধান্ত জানাবে বিএনপি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৮:০৮ আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৮:২৬
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সম্পর্কিত তিন অবস্থার তথ্য নেগেটিভ না কি পজিটিভ হয় তা দেখার পর দলের অবস্থান এবং পরবর্তী সিদ্ধান্তের কথা জানাবে বিএনপি। তবে দলটি প্রত্যাশা করছে, তিনটি তথ্য পজিটিভ হলে বেগম খালেদা জিয়া জামিন পাবেন।
রোববার খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সম্পর্কিত তিন অবস্থার তথ্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশ অনুসারে খালেদা জিয়া অ্যাডভান্স থেরাপির জন্য সম্মতি দিয়েছেন কি না, দিলে সেই চিকিৎসা শুরু হয়েছে কি না, চিকিৎসা শুরু হলে এখন কী অবস্থা। এসব তা জানিয়ে আগামী বুধবারের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানিতে এ আদেশ দেন। ভাষার মাসে বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বাংলায় এ ঘোষণা দেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে কোনো ধরনের ব্যর্থতা ছাড়াই সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের মাধ্যমে ওই প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার আবার এ মামলা পরবর্তী আদেশের জন্য কার্যতালিকায় আসবে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সম্পর্কিত তিন অবস্থার তথ্য কি হয়, সেটা হলে আপনারা আমাদের আগেই জানতে পারবেন। আর তথ্য দেয়ার পরে আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো।
উচ্চ আদালত বেগম জিয়াকে জামিন দেননি, সেখানে আবার উনার জামিন প্রত্যাশা করেছেন কেনো- এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে জামিন দিবেন। আর যে কেউ একমাস পর পর জামিন আবেদন করতে পারেন।
জানতে চাইলে খালেদা জিয়ার আইনজীবী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সম্পর্কিত তিন অবস্থার তথ্য পজিটিভ হলে তিনি জামিন পাবেন।
এদিকে আজ আদালতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার শুনানির আগে এক অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মামলার জামিনের শুনানি আছে। আমরা আশা করবো, প্রত্যাশা করবো, যে বিচার বিভাগ তার স্বাধীনতাকে রক্ষা করবেন এবং সত্যিকার অর্থে এই মামলার যে রায় হওয়া উচিত, সেই রায় দেবেন।
এর কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে বেআইনিভাবে আটকে রেখেছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা সর্বোচ্চ আদালতে বিশ্বাস করি। সুপ্রিম ও হাই কোর্টে বিশ্বাস করি। বিশ্বাস করি বলেই বারবার যাই। আমরা আশা করি যে, আমরা ন্যায় বিচার পাবো। কিন্তু কি দুর্ভাগ্য আমাদের, আজকে এই ফ্যাসিস্ট সরকার- ফ্যাসিস্ট সরকারকে হিসেবে আদালতকেও নিয়ন্ত্রণ করছে। তাই বেগম খালেদা জিয়াও ন্যায় বিচার পাননি। সর্বোচ্চ আদালতেও তিনি ন্যায় বিচার পাননি।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ড হয়েছে ১৭ বছর। এই সাজা নিয়ে তিনি গত এপ্রিল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বিএনপি ও পরিবারের সদস্যরা তাকে অন্য হাসপাতালে নিতে চাইলেও তাতে অনুমতি মেলেনি।
কেএস/এনএইচ