ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

ছাত্র অধিকার পরিষদের কারাবন্দী ৩ শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগের দাবি

  ঢাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৩ জুন ২০২১, ১৫:৪৭

ছাত্র অধিকার পরিষদের কারাবন্দী ৩ শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগের দাবি
ছাত্র অধিকার পরিষদের কারাবন্দী ৩ শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন তাদের অভিভাবকরা

ছাত্র অধিকার পরিষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার সাবেক সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, সভাপতি আখতার হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেনের আসন্ন পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন এই শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা।

রোববার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ আহবান জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনের সঞ্চালনা করেন ছাত্র অধিকার পরিষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার দপ্তর সম্পাদক সালেহ উদ্দিন সিফাত। সংবাদ সম্মেলন শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন অভিভাবকরা।

মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনকে কেন্দ্র বিভিন্ন আন্দোলনে যুক্ত থাকার কারণে চলতি বছরে ৪ এপ্রিল বিন ইয়ামিন মোল্লা, ১৩ এপ্রিল আখতার হোসেন এবং ২৯ এপ্রিল আকরাম হোসেনকে আটক করে পরবর্তীতে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বিন ইয়ামিন মোল্লা'র পিতা মো.রফিকুল ইসলাম, মাতা হাসিনা বেগম ও আকরাম হোসেনের পিতা হাফেজ মো. আলমগীর হোসেন। সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্য প্রদানের সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন অবিভাবকরা।

সংবাদ সম্মেলনে মো.রফিকুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর রাজনীতি করার, কথা বলার অধিকার আছে। তাদের পুরো জীবন শেখার বয়স। শিখতে শিখতে তারা অনেক কিছু ভুল করতে পারে। আমার সন্তানরা ন্যায়ের পথে সংগ্রাম করেছে। তার মানে এই নয় যে তাদের শিক্ষাজীবন ও ক্যারিয়ার ধ্বংস করে দিতে হবে!

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনার সন্তান যদি এই মুহূর্তে কারাগারে থাকতেন। তাহলে আপনি অবশ্যই আপনার সন্তানের পরীক্ষার সুযোগের জন্য চেষ্টা করতেন। আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবিভাবক, আমাদের সন্তানরাও আপনার (উপাচার্য) সন্তান, আপনি তাদের পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা এবং আমরা যে মুক্তির জন্য উচ্চ আদালতে আবেদন করেছি সেখানেও আপনি সহযোগিতা করবেন বলে আশা করি।

মো. আলমগীর হোসেন বলেন, আমি দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে ঈদের নামাজ পড়াই। কিন্তু এবারে আমার সন্তান বাড়িতে না থাকায় আমি নামাজ পড়াতে যেতে পারিনি।

তিনি আরও বলেন, আপনি আমাদের মানসিক অবস্থা বুঝেন। আপনারও সন্তান আছে। আমাদের মানসিক অবস্থার দিকে খেয়াল রেখে কারাগারে হলেও পরীক্ষার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আপনার কাছে আবেদন জানাই।

সংবাদ সম্মেলনে ছাত্র অধিকার পরিষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সভাপতি আসিফ মাহমুদ, প্রচার সম্পাদক মো.ওয়াহিদুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন- বিভেদ ভুলে সংগঠিত হতে বললেন ফখরুল

বিএনপির রাজনীতি এখন শেকড় থেকে বিচ্ছিন্ন

বাংলাদেশ জার্নাল/আর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত