ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

পতন শুরু হয়ে গেছে: ফখরুল

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ৩০ নভেম্বর ২০২১, ১৭:৩০  
আপডেট :
 ৩০ নভেম্বর ২০২১, ১৭:৩৪

পতন শুরু হয়ে গেছে: ফখরুল
ছবি: নিজস্ব

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ফলাফলের কথা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গতকাল ১ হাজারটা ইউনিয়ন পরিষদে ভোট হয়েছে। অর্ধেকের বেশি হেরেছে আওয়ামী লীগ। দেখেন শুরু হয়ে গেছে পতন।

মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা বিভাগ ও ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর ১টা ২০ মিনিটে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে এ সমাবেশ শুরু হয়। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ট্রাক দিয়ে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরী করে এ সমাবেশের আয়োজন করে দলটি।

নির্বাচনী ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ধ্বংস মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে পত্রিকায় দেখবেন, ১ হাজারটা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হয়েছে। দেখেন শুরু হয়েছে পতন। এই ১ হাজার মধ্যে অর্ধেকের বেশি হেরে গেছে আওয়ামী লীগ। এই পতন শুরু হয়েছে।

নেতা কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আসুন, আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই। বিশেষ করে আমাদের ছাত্র, যুবক ও তরুণ ভাইদের প্রতি আহ্বান জানাতে চাই- তরুণ এবং যুবকদের ছাড়া এদেশে কোন পরিবর্তন হয়নি। সেই তরুণ ও যুবদেরকে জেগে উঠতে হবে। তাদেরকে উঠে দাঁড়াতে হবে। ভেঙে ফেলতে হবে এই শৃঙ্খল। ভেঙে ফেলতে হবে কারাগার। আর মানুষের অধিকার, ভোটের অধিকার আদায়ে, গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার এবং বেগম জিয়ার মুক্তির জন্য আমাদেরকে আজ এই সরকারকে অবশ্যই সরাতে হবে। একটি নিরপেক্ষ সরকারের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

বাস ভাড়া কমানোর জন্য শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, কী রকম বৈষম্য করে, তারা ঢাকায় হাফ পাস দেবে। বাইরে দেবে না। আমরা পরিস্কার করে বলেছি, ভতুর্কি যদি দিতে হয়, সেই ভতুর্কি সরকারকে দিতে হবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সমাবেশে লাখো জনতার ঢল নেমেছে, এই ঢলেই প্রমাণিত হয়েছে, খালেদা জিয়াকে যদি অবিলম্বে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো না হয় তাহলে দেশের মানুষ কখনোই চুপ করে বসে থাকবে না। জনতার উত্তাল তরঙ্গের মধ্যে দিয়ে এই বেআইনি, ভোট ডাকাতি ও অনৈতিকভাবে ক্ষমতা দখল করে রাখার সরকারকে তারা উৎখাত করবে। বেগম জিয়াকে তারা মুক্ত করবে।

সমাবেশে সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেন, পুলিশকে ব্যারাকে রেখে রাজপথে আসুন। বিএনপি বনাম আওয়ামী লীগ খেলা হবে। দেখবো কে জেতে আর কে হারে। সুতরাং বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। মুক্তি না দিলে আমরা রাজপথে নেমেছি, রাজপথে থাকবো এবং সংগ্রাম করবো।

বেলা সাড়ে ১১টা থেকে খালেদা জিয়ার ছবি সম্বলিত ব্যানার, ফেস্টুন ও জাতীয় পতাকা হাতে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী সমাবেশে উপস্থিত হন। এসময় তারা খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগানে রাজপথ মুখরিত করে তোলেন।

এদিকে বিএনপির সমাবেশ ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয় দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ আশেপাশের এলাকায়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কর্মসূচি ঘিরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের আশপাশে কঠোর অবস্থানে ছিলেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যরা। কার্যালয়ের আশপাশে সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করেছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। জনসমাগম ঘটিয়ে যাতে কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে, সে জন্য সার্বিক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছিল। এছাড়া নয়াপল্টনের বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ ও ডিবি পুলিশ মোতায়েন দেখা গেছে।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, অ্যাডভোকেট আহমদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, তৈমুর আলম খন্দকার, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, কেন্দ্রীয় নেতা তাবিথ আউয়াল, যুবদলের সভাপতি সভাপতি সাইফুল ইসলাম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএস/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত