ঢাকা, বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩১ মিনিট আগে
শিরোনাম

‘মিয়ানমার বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপরে আঘাত করেছে’

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:০৪

‘মিয়ানমার বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপরে আঘাত করেছে’

মিয়ানমার বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের ওপর সরাসরি আঘাত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকা মিডনাইট ভোটের এই সরকার বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ক্রমাগত ব্যর্থ হচ্ছে। নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে মিয়ানমারও বাংলাদেশকে নিয়ে দু:সাহস দেখাতে স্পর্ধা দেখাচ্ছে। বারবার মিয়ানমার সরকারীভাবে তাদের ওয়েবসাইটে সেদেশের মানচিত্রে সেন্ট মার্টিন দ্বীপকে নিজের অংশ হিসেবে দেখাচ্ছে। সেদেশের আরাকান রাজ্যের দশ লাখের বেশী রোহিঙ্গা অধিবাসীকে বাংলাদেশে আসতে বাধ্য করেছে। এখন সেখানকার সংখ্যালঘু উপজাতিদেরও তাড়িয়ে ঢুকিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশে। এ নিয়ে জাতির ঘাড়ে জোর করে চেপে বসা আওয়ামী দানব সরকার কিছু করতে চরমভাবে ব্যর্থ হচ্ছে। প্রতিবাদ করা তো দুরে থাক, বরং মিয়ানমারের বাংলাদেশ-বিরোধী নীতির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, সারাবিশ্ব যখন রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মিয়ানমারকে চাপ দিচ্ছিলো, সেসময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমারের পক্ষ নিয়ে বক্তব্য দিয়েছিলেন। রোহিঙ্গা সংকট সমাধান হচ্ছে না কেবলমাত্র মিড নাইট সরকারের নতজানু নীতির কারণে। বাংলাদেশের ভূখন্ডকে মিয়ানমার তাদের দেশের অংশ করে নিতে চাইবে আর আমরা কিছুই করবো না! শুধু দূতকে ডেকে নিয়ে প্রতিবাদ করলেই সব শেষ হয়ে যায় না। এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের ওপর সরাসরি আঘাত। বিষয়টি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জোরালোভাবে উপস্থাপন করা হয়নি। তারা একবার না কয়েকবার একই ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে। গত বছরের অক্টোবর মাসেও মিয়ানমারের শ্রম, অভিবাসন, জনসংখ্যা মন্ত্রণালয়সহ সে দেশের অন্তত তিনটি ওয়েবসাইটের মানচিত্রে সেন্ট মার্টিন দ্বীপকে তাদের দেশের অংশ হিসাবে দেখানো হয়। তখনও এই গনহিচ্ছিন্ন সরকার কেবল নামকাওয়াস্তে প্রতিবাদ করে চুপ হয়ে যায়।

রিজভী বলেন, বাংলাদেশের সীমান্ত জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায় কি চলছে? সেখানে বিজিবির গুলিতে নিহতদের পরিবারে যখন শোকের মাতম চলছে তখন নিহতদের নামে আবার মামলা দেয়া হয়েছে। হরিপুর উপজেলা বহরমপুর ও রুহিয়া গ্রামের ২৭২ জনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছে বিজিবি। একটি মামলার এজাহারে বিজিবি’র গুলিতে নিহত শিক্ষক নবাব আলী ও কৃষক সাদেক আলী নামও রয়েছে। মামলা বিজিবি। ভয়ে আতংকে এখন পুরুষশুন্য হয়ে পড়েছে এলাকা। গ্রামবাসীদের মধ্যে বিরাজ করছে অস্থিরতা। সীমান্ত পাহারা দেয়ার কাজ বিজিবি’র কিন্তু তারা সীমান্ত পাহারা না দিয়ে বিএসএফ-এর মতোই বাংলাদেশীদের হত্যা করছে!

তিনি বলেন, আমাদের প্রশ্ন হলো, সামান্য দুটি গরুর জন্য আমাদের সীমান্ত প্রহরায় নিয়োজিত বিজিবি গুলি করে চারজন নিরীহ গ্রামবাসীকে কি করে হত্যা করতে পারে? আবার কি করে মৃত ব্যক্তির নামে মামলা দিতে পারে? তারা তো জনগণের পরিশ্রমলব্ধ অর্থে বেতন ভাতা নিয়ে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসাবে সীমান্ত পাহারা দিচ্ছে। রক্ষকরাই এখন ভক্ষক হয়ে উঠেছে।

কেএস

  • সর্বশেষ
  • পঠিত