ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

‘বাজেটে শিক্ষা খাতে ব্যয় জিডিপি’র ৩.২ শতাংশের কম’

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৪ জুন ২০১৯, ১৯:০৪

‘বাজেটে শিক্ষা খাতে ব্যয় জিডিপি’র ৩.২ শতাংশের কম’

জাতীয় সংসদে ‘২০১৯-২০’ অর্থ বছরের ঘোষিত বাজেটে শিক্ষা খাতে ব্যয় মোট জিডিপি’র ৩.২ শতাংশেরও কম বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি।

শুক্রবার বিকেলে দলের চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার‌্যালয়ে ‘বাজেট ২০১৯-২০: র প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, শিক্ষা খাত প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে। সংখ্যায় বাড়লেও শিক্ষার গুণগত মানে ধ্বস নেমেছে। শিক্ষা খাতে ব্যয় মোট জিডিপি’র ৩.২ শতাংশেরও কম। স্বাস্থ্য খাতে ১ শতাংশেরও কম। মানবসম্পদ আশানুরুপভাবে উন্নত হয়নি। দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যাংকগুলোকে করের টাকা দিয়ে ক্ষতির রাষ্ট্রীয়করণ করা হচ্ছে। বাজেট শুধু আয় ব্যয়ের হিসেব নয়। আয়ের পুনর্বন্টনও।

প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির পাশাপাশি আয়-বৈষম্য বৃদ্ধি দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। উপরের দিকের পাঁচ ও নিচের পাঁচের মধ্যে ২০১০ সালে পার্থক্য ছিল ৩২ গুণ যা ২০১৬ সালে হয়েছে ১২১ গুণ। প্রকৃত অর্থে মানুষের জীবন মানের অনেক অবনতি হয়েছে। টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য অন্তর্ভূক্তিমূলক সমাজের বিকল্প নেই।

তিনি বলেন, সরকার প্রত্যক্ষ করের তুলনায় পরোক্ষ কর আদায় করছে বেশি। আর পরোক্ষ করের বোঝা সাধারণ মানুষের ওপর পড়ে বেশি। এদিকে সাধারণ মানুষের অর্থে যে বাজেট তৈরি হয় তার ব্যয় থেকে ধনীদের ভর্তুকি দেয়া হয়। দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করে রাষ্ট্রীয় অর্থে তাদের বেইল আউট করা হচ্ছে। অপরদিকে প্রতি বছর ১০ থেকে ১১ লাখ লোককে সামাজিক নিরাপত্তা ভাতার আওতায় এনে যে সাহায্য দেয়া হয় সেটা সমুদ্রের এক বিন্দু শিশিরের মতো। সামাজিক সুরক্ষা খাতে বরাদ্দ জিডিপি’র ৩ শতাংশের কথা বলা হলেও পেনশন বাদ দিলে তা ১.৭ শতাংশ মাত্র।

মির্জা ফখরুল বলেন, বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮.২০ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ৮.১৩ শতাংশ অর্জিত হবে বলে আশা করা হয়েছে। যদিও বছরের শুরুতে চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা ছিল ৭.১ শতাংশ। যা প্রশ্নবিদ্ধ। জিডিপি প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সামষ্টিক অর্থনীতির ইনডেক্সগুলোর কোন সামঞ্জস্য নেই। ৮.১৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হলে রপ্তানি বানিজ্য, শিল্প প্রবৃদ্ধি ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও বেকারত্ব যে হারে হ্রাস পাওয়ার কথা বাস্তব চিত্র তার চেয়ে ভিন্ন। মানুষের প্রকৃত আয় হ্রাস পেয়েছে। পরিসংখ্যান ব্যুরো হাউস হোল্ড সার্ভে রিপোর্ট থেকে দেখা যায় যে, জনগণের মাথাপিছু কিলোক্যালরি কনজামশন অনেক কমে গেছে। বেকারত্ব সংকট চরমে পৌঁছেছে। বিশেষ করে শিক্ষিত বেকারের হার প্রকট আকার ধারণ করেছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, অনির্বাচিত সরকারের নৈতিক অধিকার নেই বাজেট দেয়ার। সরকার জনগণকে বাইরে রেখে যেভাবে নির্বাচন করেছে, একইভাবে বাজেটও দিচ্ছে। যেভাবে জনগণ এই নির্বাচন গ্রহণ করেনি, তেমনি বাজেটও তারাগ্রহণ করবে না।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত