ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২১ মিনিট আগে
শিরোনাম

‘দুই জায়গায় সংগঠন গড়ে উঠায় রাজপথ ফাঁকা’

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৫ নভেম্বর ২০১৯, ১৪:২৩

‘দুই জায়গায় সংগঠন গড়ে উঠায় রাজপথ ফাঁকা’
ফাইল ছবি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আজকে একটা সংগঠন জাতীয় প্রেসক্লাবে গড়ে উঠেছে এবং দলীয় কার্যালয়ে (বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়) আরেকটা সংগঠন গড়ে উঠেছে। তাহলে দলীয় কার্যালয়ে একটা আর প্রেসক্লাবে একটা সংগঠন। তাহলে রাস্তা তো এমনি ফাঁকা থাকবেই। সেই রাস্তা তো চিনতে হবে, কোন রাস্তা।

শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম আয়োজিত এক শোক সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা সাঈদ আহমেদ আসলামের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

‘বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকার স্মরণে’ এ শোক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আজকে প্রেসক্লাবে ঘিরে, আপনারা ব্যানারটা পাল্টান। কিন্তু বক্তা ও শ্রোতা একই। আর একটা সংগঠন এই জায়গায় গড়ে উঠেছে। আবার দলীয় কার্যালয়ে (বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়) আরেকটা সংগঠন গড়ে উঠেছে। তাহলে দলীয় কার্যালয়ে একটা আর প্রেসক্লাবে একটা সংগঠন। তাহলে রাস্তা তো এমনি ফাঁকা থাকবেই। সেই রাস্তা তো চিনতে হবে, কোন রাস্তা। আর আমরা প্রত্যেকে তো ব্যস্ত নিজেকে জাহির করার জন্য।

তিনি বলেন, আমরা জাতীয়তাবাদী দল রাজনীতিতে ডিফেন্সিভ ‘আত্মরক্ষামূলক’। সুতরাং সেখানে সফলতা আশা করা যায় না। কারণ আমরা প্রত্যেকেই ডিফেন্সিভ। অর্থ্যাৎ আমি আত্মরক্ষা করতে চাই, সবার বিরুদ্ধে মামলা আছে, আমার সম্পত্তি নিয়ে টান দিছে, দুর্নীতি দমন কমিশন ডাক দিছে। এটা যদি মোকাবেলা করতে চাই তাহলে আমি সম্পত্তি এবং দল রক্ষা করতে পারবো না?

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে গয়েশ্বর বলেন, এখানে (জাতীয় প্রেসক্লাব) যারা বক্তব্যে দিলেন, বিপ্লবী কথা-বার্তা বললেন। ভালো কথা, শুনতে ভালো লাগে। কিন্তু যা করতে চান তা করতে পারলে আরো ভালো লাগে। আর এখানে বক্তব্যে দিয়ে কিছু হবে না। কিন্তু আপনি এখানে বক্তব্যে দিতে না পারলে আপনি ছোট হয়ে যান, আপনার মান সম্মানে লাগে!

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, একজন রাজনৈতিক নেতা ও নেত্রীর মুক্তি কখনো আদালত নির্ভর হয় না। সুতরাং রাজনীতির মাধ্যমেই রাজনৈতিক নেতার মুক্তি হয়। তাই আদালতের উপর নির্ভর করা বাতুলতা। কারণ আদালত আদালতের জায়গায় নাই। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, বিচারবিভাগ সরকারের আওতা মুক্ত। কথা সত্য। কিন্তু শেখ হাসিনার হাতের মুঠোর বাইরে না। সরকারের অধিনে না তবে শেখ হাসিনার অধিনে। এটা প্রতিদিন প্রতিটি রায়ের মধ্যে দিয়ে আমরা উপলদ্ধি করতে পারি। সুতরাং সরকারের ইচ্ছার বাইরে খালেদা জিয়ার মুক্তি আদালতের মাধ্যমে হবে না।

তিনি বলেন, আমাদের নেতাদের কথার মধ্যে যদি গড়মিল হয়, আমাদের নেতাদের মুখে যদি খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি সুস্পষ্ট না হয় তাহলে কর্মীরা কার দিকে তাকিয়ে মাঠে নামবে?

বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, আমরা নির্বাচনে গেলাম। নির্বাচনের সময় আমরা সাতটা দফা দিয়েছি। কোন দফাটা প্রায়োরিটি? নির্বাচনে যাওয়াটাই প্রায়োরিটি ছিল। আর ছয় দফা নয়, শুধু মাত্র খালেদা জিয়া মুক্তি ছাড়া নির্বাচনে যাবো না, এই একটি দফা থাকলেই বেগম জিয়ার মুক্তির মাধ্যমেই নির্বাচন হত। আর শেখ হাসিনা আমাদের দাওয়াত করেন নাই, ড. কামাল হোসেন দাওয়াত চাইছেন। সেখানে তো খালি হাতে বিদায় দিয়েছেন।

তিনি বলেন, মোশাররফ সংসদে কথা বললো। সংসদে এমনটা হবে তা সংসদে যাওয়ার আগেই তো জানা আছে। তারা তাদের বিরুদ্ধে সংসদে কথা বলতে দেবে কেনো? আর আমাদের সংসদে যারা নেতা আছেন, তারা যদি কথা বলতে নাই পারেন তাহলে সংসদে গেয়ে দরকারটা কি?

কেএস/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত