ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

অদ্ভুত প্রাণী মিরক্যাট

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১৪ জুলাই ২০২০, ১৭:২৫  
আপডেট :
 ১৪ জুলাই ২০২০, ১৭:২৬

অদ্ভুত প্রাণী মিরক্যাট

বেজি জাতীয় স্তন্যপায়ী প্রাণী মিরক্যাট। আফ্রিকা মহাদেশের বতসোয়ানার কালাহারি মরুভূমি, নামিবিয়ার নামিবিয়া মরুভূমি, দক্ষিণ এঙ্গোলা এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় এদের দেখতে পাওয়া যায়। মিরক্যাটরা সচরাচর দলবদ্ধ হয়ে থাকতে পছন্দ করে। এদের একটি দলে প্রায় ২০ থেকে ৫০টি মিরক্যাট থাকতে পারে। কৃত্রিম পরিবেশে এরা প্রায় ১২-১৪ বছর বাঁচলেও বন্য পরিবেশে এর অর্ধেক বাঁচে।

বন্য পরিবেশে মিরক্যাটরা গর্তে বসবাস করে। এদের গর্তগুলো অনেক গর্তের সাথে যুক্ত থাকে এবং একের অধিক বহির্গমন পথ থাকে। সচরাচর দিনের বেলা খাবার খোঁজার সময়ই কেবল এরা গর্ত থেকে বের হয়। মিরক্যাটরা সামাজিক প্রাণী এবং গোত্রে বসবাস করে। গর্তের বাইরে এরা শিকারী প্রাণীদের থেকে রক্ষা পাবার জন্য অনেক সজাগ থাকে। দলের বাকি সদস্যরা যখন খাবার খুঁজতে থাকে তখন অন্তত কয়েকটি মিরক্যাট দুই পায়ের উপর ভর দিয়ে চারিদিক পর্যবেক্ষণ করতে থাকে। পর্যবেক্ষণ করা এবং সজাগ থাকার এই চরিত্রটি মিরক্যাটরা বন্য এবং কৃত্রিম (চিড়িয়াখানা) উভয় পরিবেশে বজায় রাখে।

খাদ্য

মিরক্যাটরা মূলত পতঙ্গভোজী তবে সাপ, গিরগিটি, বিছে, মাকড়সা, বিভিন্ন প্রাণীর ডিম এবং গাছপালাও এদের খাদ্যতালিকায় থাকে। কিছু বিষাক্ত প্রাণীর বিষ যেমন কালাহারি মরুভূমির বিষাক্ত কাকড়া বিছার বিষ এদের শরীরে কাজ করে না। মানুষের মত মিরক্যাটদের শরীরে মেদ সঞ্চয় করার কোনো ব্যাবস্থা না থাকায় এরা শক্তি জমিয়ে রাখতে পারে না। তাই প্রতিদিনই এদের খাদ্য সংগ্রহের জন্য বের হতে হয়। মিরক্যাটরা যখন খাবার সংগ্রহের জন্য বের হয় তখন দলের একজনকে পাহারায় রাখে যাতে করে শিকারী প্রাণীর আগমনের আগাম সতর্কবার্তা পাওয়া যায়। খাদ্য সংগ্রহের জন্য এরা কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই এদের উচ্চতারও বেশি গভীর মাটি খুঁড়তে পারে।

প্রজনন

মিরক্যাটরা এক বছর বয়স থেকেই যৌন প্রজননক্ষম হয়ে ওঠে এবং এক বছরেই তিন থেকে পাঁচটি বাচ্চা দিতে সক্ষম। মোটামুটি তিন সপ্তাহ বয়স হলেই এরা বাচ্চাদের গর্ত থেকে বের করে এবং দলের বাকি সবাই দাঁড়িয়ে থেকে এদের পাহারা দেয়। এক মাস বয়স হওয়ার আগে বাচ্চা মিরক্যাটরা খাবারের সন্ধানে বের হয় না। এক মাস পর বয়োজ্যেষ্ঠ মিরক্যাটরা বাচ্চাদের শিকার করা শেখায়।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত