ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

কাশ্মীর ইস্যুতে বাংলাদেশকে টানলেন গম্ভীর

  স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশ : ১৭ মে ২০২০, ১৭:১৪

কাশ্মীর ইস্যুতে বাংলাদেশকে টানলেন গম্ভীর

বরাবরই নেতিবাচক মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গরম করে রাখে আফ্রিদি ও গম্ভীর। দুই দেশের বিপক্ষে যাচ্ছেতাই মন্তব্য নতুন কিছু নয়। কিন্তু এবার সম্ভবত মাত্রা ছাড়িয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক আফ্রিদি। প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ‘করোনার থেকেও খারাপ’ বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি। যা সহ্য করতে পারলেন না ভারতীয় দলের সাবেক তারকা তথা বিজেপি সাংসদ গৌতম গম্ভীরও। পাল্টা আফ্রিদি, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল বাজোয়াকে ‘জোকার’ বলে তোপ দাগলেন গম্ভীর।

সম্প্রতি পাক অধিকৃত কাশ্মীরে করোনার ত্রাণ বিলি করতে যান আফ্রিদি। সেসময়ের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যাতে আফ্রিদিকে বলতে শোনা যায়, ভারতের দখলে থাকা কাশ্মীরের বেশিরভাগ নাগরিক পাকিস্তানের পক্ষে। ভারত জোর করে ওই এলাকা দখল করে রেখেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ধর্মের নামে রাজনীতি করছে। মোদির মস্তিষ্ক করোনার থেকেও ভয়ংকর।

সাবেক পাক অধিনায়কের এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন গম্ভীর। এখানে শেষ হলে কথা ছিল। কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে বলতে গিয়ে বাংলাদেশকেও টেনে আনেন গম্ভীর। আফ্রিদিদের মনে করিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ কিভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান থেকে।

টুইট করে তিনি বলেন, একজন ১৬ বছর বয়সী মানুষ আফ্রিদি বলছে, পাকিস্তানের ৭ লক্ষ সেনাকর্মী আছে, ২০ কোটি মানুষ আছে। অথচ ৭০ বছর ধরে ওরা কাশ্মীরের জন্য ভিক্ষা চেয়েই চলেছে। আফ্রিদি, ইমরান খান, বাজোয়ার মতো লোক পাকিস্তানের মানুষকে বোকা বানাতে ভারত এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নামে যা খুশি বিষ ছড়াতে পারে। কিন্তু ওরা কোনদিন কাশ্মীর পাবে না। আর বাংলাদেশের কথা মনে আছে তো?

গম্ভীর একা নন, আরেক ভারতীয় তারকা হরভজন সিংও আফ্রিদির এই মন্তব্যে ক্ষুব্ধ। সম্প্রতি আফ্রিদিরই অনুরোধে হরভজন এবং যুবরাজ সিং তার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় অর্থদানের জন্য প্রচার চালান। কিন্তু, সেই আফ্রিদিই ভারতের বিরুদ্ধে বিষ ছড়াচ্ছেন। যা মেনে নিচ্ছেন না হরভজন সিংও। তিনি বলছেন, আফ্রিদি যেটা বলেছে সেটা খুব দুঃখজনক। আমাদের দেশ এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাজে কথা বলাটা গ্রহণযোগ্য নয়। সত্যি কথা বলতে, ও আমাদের অনুরোধ করেছিল ওর সংস্থার হয়ে আবেদন করতে। সেজন্য সরল বিশ্বাসে আমরা ওকে সাহায্য করেছি। ওর সাথে আমাদের আর কোনও সম্পর্ক নেই। ওর উচিৎ নিজের দেশ এবং নিজের সীমার মধ্যে থাকা।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত