ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত অনুশীলনের প্রথম ধাপ সমাপ্ত
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ : ২৬ জুলাই ২০২০, ২০:১২
করোনা পরিস্থিতিতে শুরু হওয়া বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) এক সপ্তাহব্যাপী পৃথক অনুশীলন কর্মসূচি রোববার শেষ হয়েছে। এই ব্যক্তিগত অনুশীলনটি ঈদুল আজহার ছুটির পর আবার শুরু হতে পারে।
গত রোববার শুরু হওয়া এ অনুশীলনে ঢাকার মিরপুরে মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিথুন ও শফিউল ইসলাম, খুলনায় নুরুল হাসান সোহান ও মাহাদী হাসান, সিলেটে সৈয়দ খালেদ আহমদ ও নাসুম আহমেদ এবং চট্টগ্রামে নাঈম হাসান অংশ নিয়েছেন।
করোনা মহামারি চলাকালীন খেলোয়াড়দের বাইরে প্রশিক্ষণ করার ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি। পরে বাইরে প্রশিক্ষণের সুযোগ করে দেয়ার জন্য বিসিবিতে নয়জন ক্রিকেটার আবেদন করেন। এর পরে কয়েক সপ্তাহের প্রস্তুতি শেষে তাদের আবেদনে সাড়া দেয় বিসিবি।
এই প্রশিক্ষণ শুরু হওয়ার সাথে সাথে মোট নয়জন ক্রিকেটার যোগ দিয়েছিল, তবে আরও চারজন ক্রিকেটার পরে তাদের সাথে যোগ দেন। ব্যক্তিগত প্রশিক্ষণের প্রথম দিনে ডানহাতি পেসার শফিউল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘লকডাউনের দীর্ঘ সময় আমি রানিং করতে পারিনি। আমি আমার বাসার সিঁড়িতে চেষ্টা করেছি, তবে এটি হাঁটুর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। প্রথমবারের মতো আমি ৩০ মিনিট রানিং করেছি।’
একই দিনে মিথুন জানান, দীর্ঘ সময় ধরে রানিং করা তার পক্ষে কঠিন কারণ চার মাস ধরে তিনি বাসায় আটকে ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা চার মাস পর মাঠে অনুশীলনের সুযোগ পেয়েছি। এটা দুর্দান্ত। তবে এখন রানিং করা বা ব্যাট করা শক্ত মনে হচ্ছে কারণ আমরা ঘরে বসে আছি দীর্ঘদিন। আমি আশা করি আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সবকিছু স্বাভাবিক হবে।’
বাঁহাতি ওপেনার ইমরুল কায়েস ২১ জুলাই এই অনুশীলনে যোগ দিয়েছেন। তিনি বলেন, পেশাদার ক্রিকেট খেলা থেকে অপ্রত্যাশিত ও দীর্ঘ সময় পর খেলোয়াড়দের ফিটনেস বাড়ানোর জন্য এটি বড় সুযোগ।
ইমরুল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা যদি এই সময়ে সুযোগটি গ্রহণ করি তবে আমরা আমাদের ফিটনেসকে আগের চেয়ে আরও উন্নত করতে পারি। আমি মনেকরি আমাদের ফিটনেস স্তরটি বাড়ানোর এটি একটি ভালো সুযোগ। আমি বাসায় আমার ফিটনেস নিয়ে কাজ করে যাচ্ছিলাম। তবে দীর্ঘ সময় পরে এটি একটি নতুন অনুভূতি। আমরা এখন মাঠে অনুশীলন করতে পারি যা একটি দুর্দান্ত সুযোগ হিসেবে আসল। চার মাস পর ব্যাট হাতে নিলাম। এটা সত্যিই খুব ভালো লাগছে।’
এই অনুশীলন ঈদুল আজহার ছুটির পরেও চলতে পারে। তখন আরও ক্রিকেটাররা এতে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এদিকে, করোনার কারণে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ৫টি টেস্টসহ বাংলাদেশ দলের কমপক্ষে ১৪টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ পিছিয়ে গেছে। এই সকল ম্যাচ ভবিষ্যতে পুনঃসূচী করা হবে। তবে এই বছরের অক্টোবরে শ্রীলঙ্কায় একটি সিরিজ আয়োজন করার জন্য বোর্ড কঠোর পরিশ্রম করছে। আইসিসি সম্প্রতি ২০২০ সালের টি-২০ বিশ্বকাপ স্থগিত করেছে যা অস্ট্রেলিয়ায় অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এটি স্থগিত হওয়ায় বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা অক্টোবরে সিরিজটি খেলতে আলোচনায় রয়েছে।