ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

মুমিনুলের আক্ষেপের দিনে স্বস্তিতে নেই বাংলাদেশ

  ক্রীড়া ডেস্ক

প্রকাশ : ২২ ডিসেম্বর ২০২২, ১৭:১৮  
আপডেট :
 ২২ ডিসেম্বর ২০২২, ১৭:৩৪

মুমিনুলের আক্ষেপের দিনে স্বস্তিতে নেই বাংলাদেশ
মুমিনুলের আক্ষেপের দিনে স্বস্তিতে নেই বাংলাদেশ । ছবি: সংগৃহীত

দুই টেস্ট পর দলে ফেরা মুমিনুলের প্রত্যাবর্তনটা বেশ ভালোই হলো বলা যায়। কিন্তু মুমিনুলের আক্ষেপ যেন কাটার নয়। ফেরার ম্যাচেই সেঞ্চুরির করার সুবর্ণ সুযোগ হারালেন। অফ স্পিনারের ক্যারম বলে কাট করবেন নাকি ছাড়বেন দ্বিধায় ছিলেন মুমিনুল হক। তার গ্লাভস ছুঁয়ে ক্যাচ যায় কিপার রিশাভ পান্তের কাছে। লম্বা সময় এক প্রান্ত আগলে রাখা মুমিনুল ১২ চার ও এক ছক্কায় ১৫৭ বলে করেন ৮৪ রান।

বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে টস জিতে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। ৭৩.৫ ওভারে ২২৭ রানে থামে স্বাগতিকদের ইনিংস।

শেষ বিকেলে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ ওভারে ১৯ রান তুলে দিন শেষ করে ভারত। লোকেশ রাহুল ৩ ও শুভমান গিল ১৪ রানে অপরাজিত আছেন।

তাসকিন আহমেদ প্রথম ওভার শুরু করেন মেইডেন দিয়ে। দ্বিতীয় ওভারে বল হাতে নিয়েই প্রায় উইকেটের দেখা পেতে যাচ্ছিলেন সাকিব। শুভমান গিলের ড্রাইভ একটুর জন্য পয়েন্টে ক্যাচ হয়নি। পরের ওভারে এজ হয়ে কিপারের পাশ দিয়ে চলে যায় বল, আবার বাঁচেন গিল।

সপ্তম ওভারের দ্বিতীয় বলে তাসকিনের বলে আরেকবার সুগোগ তৈরি হয়। বল ব্যাটে লেগে উইকেটের পেছনে গেছে মনে হওয়ায় রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। কিন্তু আলট্রাএজে দেখা যায় এমন কিছুই হয়নি।

তার ঠিক পরের ওভারে সাকিবের এলবিডব্লিউ আবেদনে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। রিভিউ নেন রাহুল। এবারও বেঁচে যান তিনি। দেখা যায় বল স্টাম্পের ওপর দিয়ে চলে যেতো। এভাবেই বারকয়েক ভাগ্যের সহায়তায় বেঁচে দিন শেষ করেছে ভারত।

টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শান্ত-জাকির দেখেশুনেই খেলছিলেন। তবে প্রথম ঘণ্টায় উইকেট না হারানো স্বাগতিকরা দলীয় ৩৯ রানে উনাদকাটের বলে রাহুলের ক্যাচ হয়ে সাজঘরে ফেরেন জাকির হোসেন। আগের টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান এবার ফেরেন মাত্র ১৫ রানে। চার বলের ব্যবধানে সাজঘরে ফিরেছেন আরেক ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত (২৪)।

দিনের প্রথম সেশনের বাকি সময় সাকিব-মুমিনুলের ব্যাটে পার করে স্বাগতিকরা। লাঞ্চ বিরতি থেকে ফিরে প্রথম বলেই চড়াও হতে গেলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ফলাফল প্রথম বলেই উইকেট বিলিয়ে দেন তিনি। উমেশ যাদবের বলে উড়াতে গিয়ে পূজারার হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ৩৯ বলে ১৩ রানে ফেরেন সাকিব। তার বিদায়ে ভাঙে ৪৩ রানের জুটি।

অধিনায়কের বিদায়ের পর দলকে টেনে তোলেন মুশফিক ও মুমিনুল। তবে এই জুটিও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৪৮ রানের জুটি গড়ে উনাদকাটের দ্বিতীয় শিকার হন মুশফিক (২৬)। এর এক ওভার পর উনাদকাটকে দুই চার মেরে ৭৮ বলে মুমিনুল পৌঁছেন ফিফটিতে। ১২ ইনিংস পর ফিফটির দেখা পান তিনি। যা তার ষোলোতম ফিফটি। পঞ্চম উইকেটে বাংলাদেশ হারায় লিটনকে। ঝড় তুলেও ফেরেন ২৬ বলে ২৫ রান করে। তার বিদায়ে ভাঙে ৪২ রানের জুটি।

এক সেশনে তিন উইকেট হারিয়ে সাবধানী ছিল মিরাজ-মুমিনুল জুটি। ৬৫তম ওভারে মিরাজের চারে দুইশ স্পর্শ করলো বাংলাদেশের রান। তবে প্রথম টেস্টের মত বড় ইনিংস খেলতে পারেননি মিরাজ। তিনি ফেরেন মাত্র ১৫ রান করে। মুমিনুল হকের সঙ্গে ১০৬ বলে ৪১ রানের জুটি গড়েন মিরাজ।

এরপর মুমিনুলের সঙ্গে মাত্র ৬ রানের জুটি গড়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন সোহান (৬)। তাসকিন ফেরেন ১ রান করে। ১৬ রানের আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়েন মুমিনুল। ৮৪ রানে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে রিশাভ পান্তের ক্যাচ হন তিনি। তার ১৫৭ বলের ইনিংসে ছিল ১২ চার ও ১ ছয়। এরপর খালেদের বিদায়ে ২২৭ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।

ভারতের পক্ষে সর্বাধিক ৪টি করে উইকেট নিয়েছেন উমেশ যাদব ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ২ উইকেট নিয়েছেন এক যুগ পর টেস্ট খেলতে নামা জয়দেব উনাদকাট।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত