ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

লাল-সবুজের পতাকা বিক্রি করা এক ব্রিটিশ নারীর গল্প

  স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশ : ১৮ জুন ২০১৯, ১১:১৪

লাল-সবুজের পতাকা বিক্রি করা এক ব্রিটিশ নারীর গল্প

বাংলাদেশ থেকে ইংল্যান্ডের দুরুত্বটা প্রায় ৮৪১১ মাইল বা ১৩ হাজার ৫৩৬ কিলোমিটার! উড়োজাহাজে যেতেও আপনার কমপক্ষে ১২ ঘণ্টা সময় লাগবে। সুদূর বিলেতে বসে বাংলাদেশের মতন একটা ছোট্ট দেশের পতাকা নিয়ে ফেরি করে বেড়াচ্ছেন ব্রিটিশ এক নারী! কি আশ্চর্য হলেন? ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে গতকালকে টনটনেও দেখা মিললো এমনই এক ব্রিটিশ নারী পতাকা বিক্রেতার। লাল-সবুজে ছেয়ে গেছে যার ভ্যান।

কেনিংটন ওভাল, কার্ডিফ, ব্রিস্টলের পর টনটনেও বাংলাদেশের পতাকা বিক্রি করছেন চার্লটি ক্যারিন। বাংলাদেশের আগের চার ম্যাচের তিন ভেন্যুতেই ভ্যান ভর্তি করে বাংলাদেশের জার্সি, ক্যাপ এবং পতাকার পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন তিনি। ওভাল-কার্ডিফে বেশি হলেও ব্রিস্টলে বিক্রি ভালো হয়নি তার। কারণ বৃষ্টির জন্য ব্রিস্টলে শ্রীলংকার বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছিলো।

ইংল্যান্ডে ভারত-বাংলাদেশের খেলার সময় প্রচুর পতাকা এবং জার্সির চাহিদা থাকে। মাঠে খেলা দেখতে আসা বেশিরভাগ সমর্থকরা বাংলাদেশের পতাকা-জার্সি কিনে শুধু প্রিয় দলের প্রতি ভালবাসা জানানোর জন্য। তবে ক্যারিনের কাছে পতাকা বিক্রির একমাত্র লক্ষ্য টাকা না, নিজের ভাল লাগা থেকেই বাংলাদেশের পতাকা বিক্রি করেন তিনি।

বাংলাদেশের পরের ম্যাচগুলোর ভেন্যুতেও যাবার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন চার্লটি ক্যারিন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ম্যাচের সবগুলো ভেন্যুতে আমার ভ্যান নিয়ে হাজির হবার ইচ্ছা আছে। কারণ ম্যাচের দিন বাংলাদেশের পতাকা বেশি বিক্রি হচ্ছে।’

এখন পর্যন্ত এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রায় ৬ থেকে সাতশো পতাকা এবং জার্সি বিক্রি করেছে এই ব্রিটিশ নারী পতাকা বিক্রেতা। প্রতিটি পতাকা ৪ থেকে ৫ পাউন্ড এবং জার্সি ১২ থেকে ১৫ পাউন্ডে বিক্রি করা হয়।

কার্ডিফে চার্লটির একটি ক্রীড়া সামগ্রীর দোকান রয়েছে। তবে, বাংলাদেশের খেলা হলেই এখন তিনি বাংলাদেশের জার্সি-পতাকা নিয়ে মাঠের বাইরে পশরা সাজিয়ে বসছেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত