ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২০ মিনিট আগে
শিরোনাম

ছাত্রলীগের আনন্দ মিছিল

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড দ্রুত রায় কার্যকরের দাবী

  মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৭ জুলাই ২০১৮, ১৬:০৬

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড দ্রুত রায় কার্যকরের দাবী

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার মো. আকমল আলী তালুকদারসহ (৭৬) চারজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আসামিদের বিরুদ্ধে আনা দুটি অভিযোগই প্রমাণিত হয়েছে। এর মধ্যে একটিতে সবাইকে মৃত্যুদণ্ড এবং অপরটিতে সবাইকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

এদিকে এই রায়ে স্বস্তি ফিরে পেয়েছে মৌলভীবাজারবাসী। জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো: রাসেলের নেতৃত্বে আনন্দ মিছিল এবং মিষ্টি বিতরণ করেছে সংগঠনটি। জেলার প্রবীণ ব্যক্তিদের মতে, এই রায়ের মাধ্যমে কলঙ্কমুক্ত হল মৌলভীবাজার।

২০১৬ সালের ৩০ মে এই চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। একই বছরের ২৩ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে তদন্ত সংস্থা। তদন্ত প্রতিবেদনে তাদের বিরুদ্ধে আনুমানিক ১০২টি পরিবারের ১৩২টি ঘরে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ, ছয়জনকে ধর্ষণ, সাতজনকে অপহরণ ও ৬১ জনকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়।

গতকাল রায় ঘোষণার সময় নির্ধারণের পর থেকেই জেলাবাসী অপেক্ষায় ছিল কুখ্যাত ৪ যুদ্ধাপরাধীর রায়ের। রায়ে আকমল আলী তালুকদার (৭৬), আব্দুর নুর তালুকদার ওরফে লাল মিয়া (৬২), আনিছ মিয়া (৭৬) ও আব্দুল মোছাব্বিরকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়।

তাদের মধ্যে মাদ্রাসা শিক্ষক আকমল ও লাল মিয়া সে সময় মুসলিম লীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। আকমল ছিলেন পাঁচগাও ইউনিয়ন শান্তি কমিটির সদস্য।

আকমল আলী ছাড়া অন্য তিন আসামি পলাতক আছেন। যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে লাল মিয়া, আনিছ ও মোছাব্বির পালিয়ে যান। তার আগে তারা জামায়াতে ইসলামীর সক্রিয় সদস্য ছিলেন বলে জানা গেছে।

এলাকাবাসী দাবী জানিয়েছে যত দ্রুত সম্ভব পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার করে রায় কার্যকর করার।

মৌলভীবাজার জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জামাল উদ্দিন আনন্দ প্রকাশ করে জানান- ‘এই রায়ে মৌলভীবাজার কলঙ্কমুক্ত হয়েছে। এত বছর পরেও আমরা বিচার পেয়েছি তাই আনন্দিত। দ্রুত রায় কার্যকরের দাবী জানাই।’

মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান বলেন-‘সরকারকে ধন্যবাদ জানাই এদের বিচার সম্পন্ন করার জন্য। অচিরেই রায় কার্যকর হবে বলে আমরা আশাবাদী।’

প্রঙ্গত, ২০১৫ সালের ২৬ নভেম্বর এই চার আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল। ওইদিনই রাজনগরের পাঁচগাঁও গ্রাম থেকে আকমল আলীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মৌলভীবাজার টাউন কামিল মাদ্রাসার অবসরপ্রাপ্ত এই উপাধ্যক্ষকে পরে ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ২০১৬ সালের ২৩ মার্চ চার আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের পর গত বছরের ৭ মে অভিযোগ গঠন হয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসএস

  • সর্বশেষ
  • পঠিত