ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

বিএনপির নেতারাই বেশি আছেন, কর্মীরা নাই: বি চৌধুরী

বিএনপির নেতারাই বেশি আছেন, কর্মীরা নাই: বি চৌধুরী

আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে কন্ট্রোল করতে বিকল্প শক্তি দরকার বলে মন্তব্য করেছেন বিকল্প ধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ইস্কাটন ঢাকা লেডিস ক্লাবে বিএনপি উদ্যোগে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সম্মানে আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, আজকে চিন্তা করে দেখেন, এখানে বিএনপির নেতারাই বেশি আছেন, কর্মীরা নাই। নেতাদের বেশি নয়, কর্মীদের বেশি বুক ভয়ে কাঁপে। কাঁপবে না কেনো? কাঁপবে না কেনো? তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশি শঙ্কিত। কি হবে? যদি আবার সরকারি দল ক্ষমতায় আসে। এবারো তাদের কি হবে? সুতরাং স্বাভাবিক শঙ্কা। অভিজ্ঞতা বলে, খুব সুবিধা হবে না। একইভাবে আপনারা জানেন, কিছু কিছু রাজনৈতিক কর্মী (সরকারি দলের) আমাদের কাছে আসছে, তাদেরও বুক কাঁপে। যদি বিএনপি আসে। তাদের কি হবে?

তিনি আরো বলেন, ‘এটা কি খুব ভালো কথা? এটা কি রাজনীতির জন্য শুভ? এটা কি দেশের ভবিষ্যতের জন্য শুভ? এটা কি ইঙ্গিত নয়- ভবিষ্যতে এমন একটি পর্যায়ে দেশ যেতে পারে, যেখানে মানুষ মানুষকে হত্যা করবে এবং আগুন জ্বালাবে। কিন্তু থামাবে কে? আমি চিন্তার খরাগ দিয়ে গেলাম। এমন একটি শক্তি দরকার যে, ওদিকেও (আওয়ামী লীগ) এবং এদিকেও (বিএনপি) কন্ট্রোল করতে পারে। তারা যদি উঠে আসতে পারে। তারা যদি বলে, তোমারা যদি একটা মানুষের গায়ে হাত দাও তাহলে তোমাদের প্রত্যাহার করবো। এদিকেও (বিএনপি) বলবে এবং ওদেরকেও (আওয়ামী লীগ) বলবে। তাহলেই দেশ রক্ষা পেতে পারে। আল্লাহ'র কাছে প্রার্থনা করি আমাদের যেন সেরকম দুর্যোগ না আসে। আমরা যেন মানুষকে মানুষ হিসেবে ভালবাসতে শিখি।

বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের বাইয়ে রাজনৈতিক দলের মধ্যে ইফতারে বিকল্প ধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না উপস্থিত ছিলেন।

ইফতারে ২০ দলীয় জোটের পক্ষে জামায়াতে ইসলামীর নুরুল ইসলাম বুলবুল, আব্দুল হালিম, এলডিপি মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় পার্টি (জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, খেলাফত মজলিশের নায়েবে আমীর মাওলনা মুজিবুর রহমান, মহাসচিব ড. আহমেদ আবদুল কাদের, কল্যাণ পার্টি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক, মহাসচিব এম. এম আমিনুর রহমান, বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি, মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, এনডিপি চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, ইসলামী ঐক্যজোট (একাংশ) চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুর রকিব, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম সভাপতি মুফতী মুহম্মদ ওয়াক্কাস, পিপলস লীগ মহাসচিব সৈয়দ মাহবুব হোসেন, ডিএল সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, লেবার পার্টি (একাংশ) চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, লেবার পার্টি (অপরাংশ) চেয়ারম্যান এমদাদুল হক চৌধুরী, মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদী, ন্যাপ ভাসানী সভাপতি এডভোকেট আজহারুল ইসলাম, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাঈদ আহমেদসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির পক্ষে ইফতারে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, ড. মঈন খান, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, ভাইস চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমান, বরকত উল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু, শওকত মাহমুদ, নিতাই রায় চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আহমদ আযম খান, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, এমরান সালেহ প্রিন্স, শামা ওবায়েদ, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, বেলাল আহমেদ, মুনির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বিএএফ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত