ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

যশোরে ভারতীয় নাগরিকের রহস্যজনক মৃত্যু

  যশোর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৪ জানুয়ারি ২০২০, ০২:২৬  
আপডেট :
 ২৪ জানুয়ারি ২০২০, ০২:৩৫

যশোরে ভারতীয় নাগরিকের রহস্যজনক মৃত্যু

যশোরের সদর উপজেলার রুপদিয়ায় স্বপন সরকার (৫৫) নামে এক ভারতীয় নাগরিকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। মৃতের পরিবার ও পুলিশ একে অসুস্থ্যজনিত মৃত্যু বললেও এলাকাবাসির মাঝে নানা গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রুপদিয়া বাজারের মিস্ত্রীপাড়ায়।

মৃত স্বপন সরকার রূপদিয়া মিস্ত্রীপাড়ার মৃত শীতানাথ সরকারের মেজো ছেলে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে বড় ভাই বাবলু সরকারের বাড়িতে স্বপন সরকারের মৃত্যু হয়। তার এই মৃত্যু নিয়ে এলাকাবাসি নানা প্রশ্ন তুলছে। পুলিশ বির্তক এড়াতে লাশের সুরতহাল করে ময়নাতদন্ত করেছে।

এ বিষয়ে বাবলু সরকার জানিয়েছেন, তার ছোট ভাই স্বপন সরকার ১৯৮২ সালের দিকে স্বপরিবারে ভারতের চব্বিশ পরগনা জেলায় গিয়ে বসবাস শুরু করে। সর্বশেষ বছর পনের আগে বাংলাদেশে বেড়াতে এসেছিলো। এরপর গত পহেলা জানুয়ারি দালালের মাধ্যমে ভিসা পাসপোর্ট ছাড়াই তার এখানে চলে আসে। সে চোখে কম দেখাসহ নানা রোগে আক্রান্ত ছিলো। এখানে এসে সে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

তিনি আরও জানিয়েছেন, তার ভাইকে তার পরিবারের লোকজন তাড়িয়ে দেয়। ফলে কোন উপায় না পেয়ে সে বাংলাদেশে চলে আসে। এখানে আসলে তাকে আশ্রয় দেয়া হয়। তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হয়।

নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মোহন লাল দাস, স্থানীয় ব্যবসায়ী অশোক রায়সহ এলাকাবাসী জানান, মৃত স্বপন সরকার গত ১ তারিখে বাংলাদেশে আসার পর তার বড় ভাই বাবলু সরকার ও তার স্ত্রী বাড়িতে উঠতে দিতে না চাইলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোদাচ্ছের আলীসহ এলাকাবাসীর মধ্যস্থতায় পৈত্রিক ভিটায় আশ্রয় পান। কিন্তু এ সিদ্ধান্তকে মোটেও ভালোভাবে নিতে পারেনি বাবলু সরকার ও তার স্ত্রী। তাদের ধারণা, স্বপন যদি তার প্রাপ্য সম্পত্তির ভাগ চেয়ে বসে সে কারণে তাকে কয়েকদফা ভারতে ফেরৎ পাঠাতে ব্যর্থ হয়ে কৌশলে হত্যার পরিকল্পনা করতে পারে।

এলাকবাসি জানান, মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে স্বপনের এই মৃত্যুতে এলাকাবাসীর সন্দেহের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে স্থানীয় নরেন্দ্রপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ গোলাম মোর্তজা ঘটনাস্থলে পৌছান এবং মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

এ বিষয়ে কোতয়ালি থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, ঘটনা শুনে পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে। প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে অসুস্থ্যতার কারণে তিনি মারা গেছেন। তবে পুলিশ বিতর্ক এড়াতে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করেছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/আর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত