অবশেষে স্বজনদের কাছে ফিরলেন সেই শতবর্ষী বৃদ্ধা

বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের পরে অবশেষে ১৭ দিন পর চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর রেল স্টেশন থেকে উদ্ধার হওয়া শতবর্ষী বৃদ্ধাকে তার পরিবার ও স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

মঙ্গলবার রাহেলা খাতুনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর রাতেই তাকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ওই বৃদ্ধার নাম রাহেলা খাতুন। তিনি যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত নবী মন্ডলের স্ত্রী।

বহিষ্কারে দুর্বল হচ্ছে বিএনপির তৃণমূল

বিভিন্ন গণমাধমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রহনপুর রেল স্টেশনের পরিত্যক্ত একটি প্ল্যাটফর্মে শতবর্ষী ওই বৃদ্ধার অসহায় অবস্থায় পড়ে থাকার খবর প্রচার হয়। ১২ জানুয়ারি রাতে রহনপুর পুলিশ তদন্ত ফাঁড়ির এএসআই তৌহিদ মন্ডল ও ডিএসবি সদস্য নুরুন্নবী তাকে উদ্ধার করে গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। হাসপাতালে ভর্তির পর রহনপুর পৌরসভার মেয়র ও স্থানীয় প্রশাসন তার দেখাশুনা করে আসছিলেন।

পরে গোমস্তাপুর উপজেলা প্রশাসন ওই বৃদ্ধার সন্ধান চেয়ে আবারো প্রশাসন বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চালায়। পরে গতকাল মঙ্গলবার তার স্বজনরা গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরিচয় নিশ্চিত হয়। পরে বৃদ্ধাকে নিতে আসা তার স্বজনরা ও অঙ্গীকারনামায় সাক্ষর করে ওইদিন রাতেই নিজ বাড়ির পথে রওনা হন।

রাহেলার পত্রবধূ রহিমা বেগন, যশোরের বেনাপোলে ছোট ছেলের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে আর বাড়ি ফিরে আসেনি তিনি। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও পাওয়া যায়নি ভূলক্রমে খুলনা থেকে রহনপুরগামী মহানন্দা ট্রেনযোগে রহনপুরে ট্রেনে চড়ে চলে আসেন। এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ হয়।

এদিকে গোমস্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, আমরা যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে নিশ্চিত হয়েছি যে, শতবর্ষী এই বৃদ্ধা আবুল কাশের মা। আমরা বৃদ্ধাকে তার পরিবারের কাছে অঙ্গীকারনামায় সাক্ষর করে রাত নয়টার দিকে হস্তান্তর করেছি। সেখানকার প্রশাসনের নজরদারিতেও রাখার কথা বলা হয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, রহনপুর পৌর মেয়র তারিক আহমদ রহনপুর পুলিশ ফাঁড়ির তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল মালেক, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) হাবিবুর রহমান, ওই বৃদ্ধার ছেলে আবুল কাশেম, পুত্রবধূ রহিমা বেগম, রামচন্দ্রপুর এলাকার ইউপি সদস্য বিল্লাল হোসেন ও প্রতিবেশী মহিউদ্দিন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে