ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

জয়পুরহাটের আলু যাচ্ছে বিদেশে

  জয়পুরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৬:৪৮  
আপডেট :
 ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৬:৫৯

জয়পুরহাটের আলু যাচ্ছে বিদেশে

জয়পুরহাটে আলু চাষ করে এবার ব্যাপক লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। মাঠে মাঠে এখন আলু তোলার ধুম। বীজ, সার ও কীটনাশক ঔষধের পর্যাপ্ত সরবরাহ ও রোগ-বালাই কম হওয়াসহ আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার ফলনও হয়েছে ভালো। বিঘাপ্রতি ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা খরচ করে আলু বিক্রি হচ্ছে বিঘাপ্রতি ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলায় ৩৮ হাজার ৩২৫ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ হয়েছে। এ থেকে আলুর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৯ লাখ ৫০ হাজার ৬৮৩ মেট্রিক টন ধরা হয়েছে। বর্তমানে জেলার চাহিদা মিটিয়ে এখানকার আলু দেশের বিভিন্ন জায়গাসহ বিশ্বের প্রায় ১০টি দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে।

আলু চাষের বিখ্যাত জেলা জয়পুরহাট। গত কয়েক বছর ধরেই বাজারে দাম না থাকায় আলুতে বেশ লোকশান গুনতে হয়েছে কৃষকদের। এবারও সেই লোকশানের আসঙ্কার সাথে কিছুটা স্বপ্ন নিয়ে জমিতে আলুর চাষ করেছিল কৃষকরা। তবে লোকশানের আশঙ্কা কাটিয়ে এবার তাদের মুখে হাসি। বাজারে দাম ভালো পাওয়ায় আগের ক্ষতি পুষিয়ে বেশ লাভবান হচ্ছেন তারা। এবার বিঘাপ্রতি ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা খরচ করে আলু বিক্রি হচ্ছে বিঘাপ্রতি ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা।

এবার উল্লেখযোগ্য আলুর মধ্যে রয়েছে উফশী জাতের মিউজিকা, ডায়মন্ড, এস্টোরিক্স, কার্ডিনাল, রোজেটা, ক্যারেজ। স্থানীয় পাকড়ী জাতের আলু চাষের মধ্যে রয়েছে, তেল-পাকড়ী, পাহাড়ী-পাকড়ী, বট-পাকড়ী ও ফাটা-পাকড়ী। তবে বেশি জমিতে মিউজিকা, ডায়মন্ড, এস্টোরিক্স, কার্ডিনাল, ও রোজেটা জাতের আলু চাষ হয়েছে।

এদিকে কালাই উপজেলার উৎপাদিত আলু স্থানীয়ভাবে চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকা, গাজীপুর, নারায়নগঞ্জ, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরিশাল, ভোলা, নোয়াখালী, গোপালগঞ্জ, ফেনী ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়া এখানকার আলু মালেশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, জাপান, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব, কুয়েত ও রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে।

কালাই উপজেলা চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান মিলন বাংলাদেশ জার্নালকে জানান, কালাই উপজেলার উৎপাদিত আলুর গুনগত মান ভালো হওয়ায় দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। এই রপ্তানিতে সরকার আরও সহযোগিতা করলে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন তিনি।

কালাই উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের আলু চাষী রাজ্জাক বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, মালেশিয়ার মাসাওয়া কোম্পানীর এজেন্ট কাছে মণ প্রতি ৫৫০ টাকার দরে দুই বিঘা জমি মিউজিকা জাতের আলু বিক্রি করেছি। এবারে আলুর বাজারে আলুর দাম ভালো পাওয়ায় অনেক খুশি হয়েছি।

উপজেলার নান্দাইলদীঘি গ্রামের মালেশিয়ার মাসাওয়া কোম্পানীর আলু কেনার এজেন্ট মো. বাশেদ ও রফিকুল বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, মালেশিয়ার মাসাওয়া কোম্পানীর চাহিদা অনুযায়ী প্রতিদিন ১৬ টাকা কেজি দরে প্রায় ৪শ মণ বিভিন্ন জাতের আলু কিনতে হচ্ছে। আর এভাবে চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত আলু কিনতে হবে।

সদর উপজেলা কোমরগ্রামের কৃষক রানা হোসেন বাংলাদেশ জার্নালকে জানান, আমি ২ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি। এবারে বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় বেশ লাভবান হয়েছি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক স.ম মেফতাহুল বারি বাংলাদেশ জার্নালকে জানান, মাঠ পর্যায়ে কৃষি বিভাগের লোকজন কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। এবার আলুর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত