ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

পরস্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে: বিচার হয়নি ৭ মাসেও

  লালমনিরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৬:১৮

পরস্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে: বিচার হয়নি ৭ মাসেও

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা থানার উপ-সহকারী পরিদর্শক (এএসআই) নাদের হোসেনের বিরুদ্ধে অন্যের স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করলেও কোনো বিচার পায়নি অভিযোগকারী।

এএসআই নাদের হোসেনের দাবি, ফারহানা আক্তার উর্মি নামে কোনো নারীকে তিনি বিয়ে করেনি। তবে উর্মি বলেন, এএসআই নাদের হোসেনকে তিনি বিয়ে করেছেন।

এদিকে এএসআই নাদের হোসেনের প্রথম স্ত্রী শিল্পী বেগেমও দাবি করেন, তার অনুমতি না নিয়ে ফারহানা আক্তার নামে এক নারীকে এফিডেভিট মূলে বিয়ে করেন তার স্বামী।

পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছে, বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে। কিন্তু অভিযোগকারী নাবিদ হাসান হিমেলের অভিযোগ, তিনি বিচার পায়নি। উল্টো ওই পুলিশ কর্মকর্তা তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে।

জানা গেছে, হাতীবান্ধা থানার উপ-সহকারী পরিদর্শক (এএসআই) নাদের হোসেন কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী থানায় কর্মরত থাকা অবস্থায় গত বছরের ২০ জুলাই ওই এলাকার নাবিদ হাসান হিমেলের স্ত্রী ফারহানা আক্তার উর্মিকে ভাগিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় নাবিদ হাসান হিমেল ২ আগষ্ট লালমনিরহাট পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

ওই অভিযোগপত্রের সাথে নাদের হোসেন ও ফারহানা আক্তার উর্মির বিয়ের একটি এফিডেভিট সংযুক্ত করেন নাবিদ হাসান হিমেল। ১৯ আগষ্ট এএসআই নাদের হোসেনের স্ত্রী শিল্পী বেগমও লালমনিরহাট পুলিশ সুপারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগে শিল্পী বেগম দাবি করেন, তার স্বামী নাদের হোসেন তার অনুমতি না নিয়ে ফারহানা আক্তার উর্মি নামে এক নারীকে এফিডেভিট মূলে বিয়ে করেন এবং ওই বিয়ের পর থেকে তাকে ও সন্তানের ভরন পোষণ দিচ্ছে না। দুইটি অভিযোগ আমলে নিয়ে গত ২১ আগষ্ট তৎকালীন পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক পুরো বিষয়টি তদন্ত করে ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য তৎকালীন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে (সদর) নিদের্শ দেন। যার স্মারক নং ২১৭৮/আরও, তারিখ ২১/০৮/২০১৯ ইং।

কিন্তু নাবিদ হাসান হিমেলের অভিযোগ, এ ঘটনার ৭ মাসে পার হলেও তার দায়ের করা অভিযোগের কোনো বিচার পাননি তিনি। উল্টো ওই পুলিশ কর্মকর্তা নাদের হোসেন তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানায় এএসআই নাদের হোসেন বলেন, ফারহানা আক্তার উর্মি নামে কোনো নারীকে তিনি বিয়ে করেনি। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা।

তবে ফারহানা আক্তার উর্মি বলেন, তিনি তার আগের স্বামী নাবিদ হাসান হিমেলকে তালাক দিয়ে এএসআই নাদের হোসেনকে বিয়ে করেছেন।

অপরদিকে এএসআই নাদের হোসেনের স্ত্রী শিল্পী বেগম বলেন, আমি যতদূর শুনেছি আমার স্বামী ২য় বিয়ে করেছে। ওই বিয়েতে আমার অনুমতি নেয়া হয়নি।

লালমনিরহাট পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা বলেন, আমি নতুন এসেছি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে বলতে হবে।

সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শহীদ সোহরাওয়ার্দী বলেন, বিষয়টি আগের পুলিশ সুপার তদন্ত করেছেন। আমি যতদূর জানি ওই সময় উভয় পক্ষের মাঝে মীমাংসা হয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত