ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

দিনাজপুরে হোটেল রেস্তোঁরা বন্ধ থাকায় লোকসানে খামারীরা

  দিনাজপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৩ এপ্রিল ২০২০, ২১:৫৫

দিনাজপুরে হোটেল রেস্তোঁরা বন্ধ থাকায় লোকসানে খামারীরা

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে অফিস ,আদালত, যানবাহন, দোকানপাটসহ হোটেল রেস্তরা বন্ধ থাকায় দিনাজপুর জেলার ডেইরী ফার্মের দুধের দাম এবং পোলট্রি মুরগির দাম চরম ভাবে কমে যাওয়ায় লোকসানের মুখে খামারীরা।

বাজারে দুধের চাহিদা না থাকায় তারা পানির দামে দুধ বিক্রি করছে । এতে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা লোকশানে পড়েছেন খামারীরা।

দিনাজপুর প্রানী সম্পাদ কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা গেছে জেলায় ৩ সহস্রাধিক গরুর খামার যার মধ্যে লক্ষাধিক গরু আছে ও ৫ সহস্রাধিক মুরগির ফার্ম রয়েছে ।

ফুলবাড়ী উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডা.আহসান হাবীব জানান, পৌর এলাকাসহ উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে প্রায় ৮০টি গরুর খামার রয়েছে। এর পাশাপাশি ৬০- ৭০হাজার গরু রয়েছে এর মধ্যে ২৫-৩০ হাজার দেশি ক্রসযুক্ত দুগ্ধ গাভী এবং প্রায় ৪০ হাজার বিদেশি গাভী রয়েছে। প্রায় প্রতিটি বাড়িতে ২-১টি করে দুগ্ধ গরু রয়েছে তারাও দুধ বিক্রি নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন।

এছাড়াও তিনি বলেন, উপজেলায় লেয়ার ও বয়লার জাতের পোলট্রি মুরগির ছোট ও মাঝারী খামার রয়েছে ২৫০টি। এই পোলট্রি খামারীরাও একই সমসায় পড়েছে।

ফুলবাড়ীর বিভিন্ন খামার ঘুরে খামারীরেদের সাথে কথা বলে জানা গেছে দেশে কোরানা ভাইরাস বিস্তারের পুর্বে বোয়ালার জাতের পোলট্রি মুরগি বিক্রি হতো ১২০-১৩০টাকা কেজি। যা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি দরে এবং সেনালী জাতের পোলট্রি মুরগি ১৫০-১৬০টাকা কেজি দরে।

খয়েরবাড়ী এলাকার খামারী শাহিনুর বলেন, মুরগির দাম কমলেও খাবারের দাম বেড়েছে। এভাবে চলতে থাকলে তাদের খামার বন্ধ করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না। খামারীরা তাদের মুরগি কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। কেউ কেউ আবার কমদামে মুরগি বিক্রি না করায় তাদের মুরগির বয়স বেড়ে যাওয়ায় খাদ্য কিনতে হিশশিম খাচ্ছে। এতে তাদের হাজার হাজার টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে।

উপজেলার সাদিক ডেইরী ফার্মের মালিক শিবলী সাদিক বলেন বলেন, খামারে ১৪টি গাভি রয়েছে । প্রতিনি প্রায় ১২০ থেকে ১৩০ কেজি দুধ উৎপন্ন হয়। শহরের হোটেল রেস্তরা বন্ধ থাকায় এই দুধ তিনি বাজারে বিক্রি করতে পারছে না। এতে করে তাকে প্রতিদিন ছয় থেকে সাত হাজার টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, ছোট খামারে যদি এ অবস্থা হয়, তাহলে বড় খামারীদের লোকশান আরো কত। একই কথা বলেন সুজাপুর গ্রামের খামারী অরুনসহ একাধিক খামারীরা।

অপরদিকে হাজির মোড় এলাকার আলামিন বলেন, তার বাড়িতে একটি দুগ্ধ গাভি রয়েছে প্রতিদিন ১০-১২কেজি দুধ হয়। এ অবস্থায় দুধ বিক্রি হচ্ছে না । কিছু দুধ ফ্রিজে আর কিছুটা কমদামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/ এমএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত