ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

মঙ্গলবার রাতে বঙ্গোপসাগরে হানা দেবে ‘আম্পান’

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৮ মে ২০২০, ২২:০৫  
আপডেট :
 ১৮ মে ২০২০, ২২:০৯

মঙ্গলবার রাতে বঙ্গোপসাগরে হানা দেবে ‘আম্পান’
প্রতীকী ছবি

ঘূর্ণিঝড় আম্পান মঙ্গলবারের মধ্যে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় প্রবেশ করবে। ১৯ মে রাত থেকে ২০ মে বিকেল বা সন্ধ্যার মধ্যে এটি বাংলাদেশের উপকূলে অতিক্রম করবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বর্তমানে ঘূর্ণিঝড় আম্পান আরো ঘনীভূত হয়ে শক্তি সঞ্চয় করে সুপার সাইক্লোনে পরিণত হয়েছে। এখন এই সাইক্লোনের বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ২২৫ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২৪৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এর প্রভাবে সাগর বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়ায় মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। একই কারণে উপকূলীয় জেলাগুলো, দ্বীপ ও চরগুলোতে জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। সেই সাথে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ১৪০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

সোমবার পৌনে ৮টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের অনলাইনে এসব তথ্য জানান আবহাওয়াবিদ রাশেদুজ্জামান।

তিনি বলেন বলেন, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্পান আরও ঘনীভূত হয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে সুপার সাইক্লোনে পরিণত হয়েছে। এই সাইক্লোনের গতিবেগ ঘণ্টায় ২২৫ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২৪৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাইক্লোনটি উত্তর দিকে অগ্রসর হয়েছে এবং এটি আরও কিছুটা উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে বাঁক নিয়ে উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হবে। সেক্ষেত্রে আগামীকালকের মধ্যে এটি উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় প্রবেশ করবে।

আরো পড়ুন: ঘণ্টায় ২০০ কি.মি বেগে আছড়ে পড়বে ‘আম্পান’

তিনি জানান, আম্পান এখন বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দরগুলো থেকে প্রায় ৯০০ কিলোমিটার দূরে আছে। এর প্রভাবে সাগর বিক্ষুব্ধ থাকায় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের আওতায় যেসব জেলা আছে সেগুলোও এই সংকেতের আওতায় পড়বে। এছাড়া৷ মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এরসঙ্গে আশেপাশের জেলাগুলোও এই সংকেতের আওতায় পড়বে।

তিনি জানান, এর প্রভাবে স্থানীয় উপকূলবতী দ্বীপ ও চরগুলোতে স্বাভাবিক জোয়ারের ৪ থেকে ৫ ফুট বেশি বায়ূতাড়িত জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে। এরসঙ্গে ঘূর্ণিঝড় অতিক্রম করার সময় ওই জেলাগুলো, অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর ওপর দিয়ে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ১৪০-১৬০ বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। অর্থাৎ এখনকার গতির চেয়ে গতি কিছুটা কমে যেতে পারে।

এদিকে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আম্পান সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৯৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এ কারণে মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। একইভাবে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৬ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

আরো পড়ুন: আম্পান: প্রস্তুত ১২ হাজার আশ্রয়কেন্দ্র

ঘূর্ণিঝড় এবং অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম জেলা গুলো এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ১৪০-১৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত