ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

বানারীপাড়ায় মাদ্রাসাছাত্রী হত্যা: ৪ জন আটক

  বরিশাল প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৯ জুলাই ২০২০, ০২:৪০  
আপডেট :
 ০৯ জুলাই ২০২০, ০২:৫৭

বানারীপাড়ায় মাদ্রাসাছাত্রী হত্যা: ৪ জন আটক

বরিশালের বানারীপাড়ায় মাদ্রাসাছাত্রী আয়শা (১২) হত্যার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক নারীসহ চার জনকে আটক করেছে পুলিশ।

বুধবার সন্ধ্যায় আয়শার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল। হত্যার পর মরদেহ উপজেলার আউয়ার বাজার সংলগ্ন নদীতে ফেলে দেয়া হয়।

হত্যাকাণ্ডের শিকার আয়শা উপজেলার আউয়ার দাখিল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। আয়শা উপজেলার সৈয়দকাঠী ইউনিয়নের আউয়ার গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী দুলাল লাহারীর মেয়ে।

আটককৃতরা হলেন- সিদ্দিকুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী হনুফা বেগম এবং তাঁদের দুই ছেলে সাব্বির ও ফাহাদ।

জানা যায়, আটকৃতরা সবাই আয়শার ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী। তাদের বাড়িতে নিয়মিত যাতায়ত ছিল আয়শার।

পরিবারের অভিযোগ, আয়শাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ খালে ফেলে দিয়ে গুম করার চেষ্টা করা হয়।

তবে এটি হত্যাকাণ্ড কিনা সে বিষয়ে তাৎক্ষনিকভাবে কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ। বৃহস্পতিবার ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ বরিশালে পাঠানো হবে।

নিহত আয়শার বোন ফাতেমা আক্তার এবং বাবা দুলাল বেপারী জানান, মঙ্গলবার সকাল ১০টার পর থেকে আয়শা নিখোঁজ ছিল। প্রতিবেশী সিদ্দিকের ঘরের সামনে আয়শার একটি স্যান্ডেল পাওয়া যায়। এ থেকে সন্দেহ হওয়ায় এলাকাবাসী সিদ্দিকের পরিবারের লোকদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা এক পর্যায়ে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে। পরে সিদ্দিক, তার স্ত্রী হনুফা, বড় ছেলে সাব্বির ও ছোট ছেলে ফাহাদকে পুলিশে সোপর্দ করে এলাকাবাসী।

সৈয়দকাঠী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মৃধা জানান, মঙ্গলবার বিকেল থেকে আয়শাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরবর্তীতে ওই পরিবার থেকে মাইকিং করা হয়। কিন্তু এরপরও আয়শার সন্ধান মেলেনি। বুধবার সকালে আউয়ার গ্রামের কুটিয়াল সিদ্দিকুর রহমান বাজারসংলগ্ন নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে আয়শার মরদেহ ভাসতে দেখে। এরপর ওই মরদেহে পাথর বেধে তা ডুবিয়ে দেয়।

আব্দুল মান্নান মৃধা বলেন, তা স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে আমাকে অবহিত করে। সেখানে এসে সিদ্দিককে ঘটনার সত্যতা জানতে চাই। এসময় সে মেয়েটির মরদেহ ভাসতে দেখে পাথর দিয়ে তা ডুবিয়ে দেয়ার কথা স্বীকার করে।

চেয়ারম্যান বলেন, বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করার পর সিদ্দিকসহ তার পরিবারের চার সদস্যকে থানায় নিয়ে যায়। আর সিদ্দিকের দেখানো জায়গা থেকে সন্ধ্যার দিকে আয়শার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল।

বানারীপাড়া থানার ওসি শিশির কুপার পাল বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একই পরিবারের চার সদস্যকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে যাদের জড়িতের প্রমাণ মিলবে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।

উদ্ধারকৃত আয়শার মরদেহের ময়ানতদন্ত করার জন্য ‍বৃহস্পতিবার শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/আর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত