ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

বিদেশে যাচ্ছে জয়পুরহাটের কচুর লতি

  জয়পুরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১২ আগস্ট ২০২০, ১৬:৫৭

বিদেশে যাচ্ছে জয়পুরহাটের কচুর লতি

অন্যান্য ফসলের তুলনায় অধিক লাভজনক হওয়ায় জয়পুরহাটে বাণিজ্যিকভাবে কচুর লতি চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন কৃষকরা। গুণগত মান ভালো ও চাহিদা বেশি হওয়ায় এখানকার লতিরাজ কচু জেলার চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি যাচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ সৌদি আরব, দুবাই, কুয়েত, জর্ডান, লিবিয়া, সিঙ্গাপুর ও ইউরোপ-আমেরিকার মতো দেশগুলোতে। তবে কৃষকরা বলছেন, এবার করোনার কারণে গত বছরের চেয়ে দাম কিছুটা কম।

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার বটতলী বাজারে অস্থায়ী ভাড়া করা বাজারে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাইকাররা আসেন কচুর লতি কিনতে। এ লতিরাজ কচু পুষ্টিকর ও সুস্বাদু হওয়ায় রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবারাহ হচ্ছে। এছাড়াও সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দুবাই, কুয়েত, জর্ডান, লিবিয়া, সৌদি আরবসহ ইউরোপ আমেরিকার মতো দেশগুলোতেও এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।

পাঁচবিবি উপজেলার খাঁসবাগুড়ি গ্রামের লতি চাষী ইলিয়াস ফকির জানান, আমি এবার ১০ কাঠা জমিতে লতি চাষ করেছি। খরচ হয়েছে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা। আমি ইতিমধ্যেই ৩০ হাজার টাকা বিক্রি করেছি। পরের ধাপে আরও ৩০ হাজার টাকা বিক্রির আশা করছি।

একই গ্রামের কৃষক আসলাম হোসেন জানান, লাভ বেশি হওয়ায় আমি অন্য ফসল বাদ দিয়ে লতি চাষ করেছি। এবার আমার প্রতি বিঘায় খরচ হয়েছে প্রায় ২০ হাজার টাকা। আর এ থেকে বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৯০ হাজার টাকা।

বটতলী এলাকার কৃষক সিরাজুল ইসলাম জানান, আগের বছর বিঘাপ্রতি লতি বিক্রি করেছি ১ লাখ ২০ হাজার টাকায়। তবে এবার করোনার কারণে বিক্রি করেছি ৯০ হাজার টাকায়।

কৃষক সুলতান হোসেন জানান, এই লতি থেকে আমাদের বাড়তি লাভ হয় গোড়া বিক্রি করে। এক বিঘার গোড়া বিক্রি হয় প্রায় ১৫ হাজার টাকা। এতেই আমাদের উৎপাদন খরচ উঠে যায়।

লতি ব্যবসায়ী মমিজুল, রেজাউল করিম ও ফারুক বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, করোনার কারণে কয়েকদিন আগে বাজার কম হলেও এখন বাজার বেশ ভালো। প্রতিদিন এই বাজার থেকে ৫-৬ ট্রাক লতি রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হয়। এছাড়াও চাহিদা থাকায় ঢাকা থেকে আমাদের এই লতি বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে।

ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মোকাম পাঁচবিবির এই লতির হাঁট। এ হাটে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকার লতি বেচাকেনা হয়। তবে সবথেকে বড় সমস্যা আমাদের লতি বেচাকেনার কোন স্থায়ী হাঁট নেই। এই হাঁট আমাদের ভাড়া করা। তাই সরকার যদি একটি স্থায়ীভাবে হাঁটের ব্যবস্থা করে দিতো, তাহলে আমাদের বেচাকেনা সহজ হতো। এছাড়াও স্থায়ী হাঁট না থাকায় এ থেকে সরকার প্রচুর রাজস্ব হারাচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বাংলাদেশ জার্নালকে জানান, এবার ১২৫০ হেক্টর জমিতে কচুর লতির চাষ হয়েছে। জেলা ব্রান্ডিং-এ স্থান পাওয়ায় এই লতিচাষে কৃষকদের প্রশিক্ষণসহ সকল প্রকার সহযোগিতা দিয়ে আরো বেশি উদ্ধুদ্ধ করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত