ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

ঝাঁজের পর ঝালে ‘পুড়ছে’ বাঁজার

  রফিকুল ইসলাম, রংপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৫:৪৫  
আপডেট :
 ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৫:৫৩

ঝাঁজের পর ঝালে ‘পুড়ছে’ বাঁজার
প্রতীকী ছবি

পেঁয়াজের ঝাঁজের পর এবার কাঁচা মরিচের ঝাল বেড়েই চলেছে রংপুরের ছোট বড় হাট বাজারগুলোতে। পাইকারি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ২০০ টাকা। বিক্রেতাদের সাফ কথা ‘নিলে নেন না নিলে কথা কম কন’। এদিকে বন্যা বা বৃষ্টিতে ব্যাপক অর্থে মরিচের ক্ষেত নষ্ট হয়নি বলে দাবি কৃষি বিভাগের।

সাধারণ ক্রেতারা মনে করেন, বাজার মনিটরিং না করায় এমন অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে জেলা প্রশাসন বলছে, নিয়মিত মনিটরিং টিম কাজ করছে বাজারগুলোতে।

বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, মরিচ পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। বিক্রেতাদের কাছে মরিচের কোনো সঙ্কট নেই। সরবরাহও যথেষ্ট রয়েছে।

ব্যবসায়ীদের দাবি, কয়েক দফা টানা বর্ষণের কারণে মরিচের ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। তাই স্থানীয়ভাবে মরিচের বাজারে সঙ্কট থাকায় সরবরাহ কম। যার ফলে দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ক্রেতারা বলছেন, তাহলে বিদেশ থেকে যেসব মরিচ আসছে, সেগুলোর দাম বেশি কেনো? এমন প্রশ্নে ক্ষিপ্ত হন বিক্রেতারা।

রংপুর সিটি বাজার, ধাপ বাজার, লালবাগ বাজার, কামালকাচনা বাজার, স্টেশন ও মাহিগঞ্জ এবং সাতমাথা বাজার ঘুরে একই দৃশ্য পাওয়া গেছে। দেশ এবং বিদেশের যে মরিচই হোক, দাম ২০০ টাকা।

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, এলসির মরিচও বেশি দরে কিনতে হচ্ছে। তাই বাজারে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

রংপুর সিটি বাজারে আসা ক্রেতা আব্দুল মজিদ বলেন, ‘একবার পেঁয়াজ, একবার মরিচ, আবার কখনো কখনো মসলার দাম বাড়ছে। আমরা বুঝি না যখন তখন ইচ্ছামতো এসদের দাম কেনো বাজছে।’

তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘সত্যিই কী বাজারে ২০০ টাকা কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হবার মতো? মরিচ কী বাজারে নেই? তাহলে এত এত মরিচ আসছে কোথা থেকে?’

তার মতোই ফরিদুল ইসলাম নামে আরেকজন বলেন, ‘আমরা যে কার কাছে অসহায় তা বুঝে উঠতে পারছি না। এভাবে চলতে পারে না। এর একটা বিহিত করা দরকার। আমরা সাধারণ মানুষ কেন এত জিম্মি? আমরা চাই সরকার এই সিন্ডিকেটদের কোমর ভেঙে দিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াক।’

সায়লা শারমিন নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘কাঁচা মরিচের দাম কয়েক দিনে তিন গুণেরও বেশি হয়ে গেছে। কী আর করা, না কিনে তো উপাই নেই। ওড়া দাম বাড়াতেই থাক!’

রংপুরের আড়ৎদার সোলায়মান বলেন, ‘বৃষ্টি ও বন্যার কারণে মরিচ ক্ষেত নষ্ট হওয়ায় আমদানি কমে গেছে। সেজন্য মরিচের দাম বেড়ে গেছে। বেশি দামে কেনার কারণে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।’

রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচাক ড. সরওয়ারুল হক জানান, রংপুরে এবার স্থানীয় এবং হাইব্রিট জাতের মরিচ চাষ হয়েছে ১ হাজার ৭৫০ হেক্টোর জমিতে। বন্যা বা বৃষ্টিতে ব্যাপক অর্থে মরিচের ক্ষতি হয়নি।

রংপুর জেলা প্রশাসনের বাজার মনিটরিং কর্মকর্তা, সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান মৃধা জানান, তারা অনেকেই কাজ করছেন। বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানাবেন। সংশ্লিষ্টদের সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন তিনি।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত