ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টাকালে এএসআই ধরা!

  রংপুুুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২০:৪০

ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টাকালে এএসআই ধরা!

রংপুর মহানগরীর চেকপোস্ট এলাকায় ফিরোজ খান রাজু নামে এক যুবককে ইয়াবা দিয়ে আটকের সময় জনতার হাতে অবরুদ্ধ হন রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানার এএসআই আবু সায়েম। পরে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) শহিদুল্লাহ কাওছারসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়পক্ষের সঙ্গে কথা বলে অভিযুক্ত পুলিশকে থানায় নিয়ে যান।

বুধবার বিকালে চাঞ্চল্যকরে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রংপুর নগরীর ধাপ চেকপোস্টের কাছে ডেলিশিয়া হোটেলে বাংলাদেশ টোব্যাকো কোম্পানির মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটি সভা চলছিল। দুপুর দেড়টার দিকে আরিফুল ইসলাম রকি নামে চাকরিচ্যুত এক কর্মচারী সভায় উপস্থিত বিটিসির সুপারভাইজার ফিরোজ খান রাজুকে মোবাইলে কল করে বাইরে ডাকে। রাজু বাইরে এসে ধুমপান করছিলেন। এরপরই সেখানে চাকরিচ্যুত রকি গিয়ে রাজুর হাতে একটি সিগারেট দেয়। সঙ্গে দেয় একটি সিগারেটের প্যাকেট। সঙ্গে সঙ্গে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের এএসআই আবু সায়েম বিটিসির কর্মচারী রাজুকে ধরে ফেলে এবং তাকে ইয়াবা রাখার দায়ে গ্রেপ্তার করা হলো বলে জানায়।

এ সময় রাজুর অন্যান্য সহকর্মীরা বারবার অভিযুক্ত পুলিশকে বলে, কোথায় সেই ইয়াবা, এখানে ইয়াবা কোথা থেকে এলো? আপনার হাতে কী, হাতের মুঠ খুলে আমাদের দেখান।

এ নিয়ে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় শুরু হয় উভয়ের মধ্য। মুহূর্তের মধ্যে খবর ছড়িয়ে পড়লে রাজুর অন্য সহকর্মীরা এসে পুলিশের এএসআই আবু সায়েমকে ডেলিসিয়া হোটেলের নিচে নিয়ে যায়। শুরু হয় হৈচৈ। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে আটক করার দাবি জানায়।

ঘটনাস্থলে থাকা রাজুর সহকর্মীরা জানান, আমরা বারবার পুলিশ কর্মকর্তা সায়েমকে বলি যে, আপনার হাতের মুঠোয় কী, মুঠ খুলে আমাদের দেখান, কিন্তু উনি দেখাচ্ছিলেন না। আমাদের ধারণা, রকির সঙ্গে পুলিশ কন্ট্রাকে এসে রাজুকে আটকের পরিকল্পনা করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, খবর পেয়ে মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার শহিদুল্লা কাওছারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান। তারা পুরো ঘটনা শুনে তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়ে জনতার হাতে আটক পুলিশ কর্মকর্তা আবু সায়েমকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

উপ-পুলিশ কমিশনার শহিদুল্লা কাওছার জানান, পুরো বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি। তদন্তে কেউ দায়ী হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত