অবশেষে গ্রেপ্তার ডজন মামলার আসামি সিকদার লিটন
জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশ : ১৯ অক্টোবর ২০২০, ১৭:২২ আপডেট : ১৯ অক্টোবর ২০২০, ১৭:২৪
অসংখ্য প্রতারণা ও চাঁদাবাজি মামলার আসামি ফরিদপুরের সিকদার লিটন অবশেষে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ানের (র্যাব) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন। নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত লিটন এতোদিন আত্মগোপনে ছিলো।
সোমবার ভোররাতে ভাঙ্গা উপজেলার একটি ভাড়া বাসা হতে লিটনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে র্যাব-৮ (সিপিসি-২) এর কমান্ডার দেবাশীষ কর্মকার নিশ্চিত করেছেন।
আলফাডাঙ্গা উপজেলার টগরবন্দ ইউনিয়নের আজমপুর গ্রামের সিদ্দিক সিকদারের ছেলে সিকদার লিটন সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে অসংখ্য মানুষের সঙ্গে প্রতারণা ও চাঁদাবাজি করে আসছিলেন বলে অভিযোগ আছে।
আরো পড়ুন: প্রতারক লিটনকে খুঁজছে পুলিশ
র্যাব কর্মকর্তা দেবাশীষ কর্মকার বলেন, ‘সোমবার ভোররাতে ভাঙ্গা উপজেলা সদরে থানার সন্নিকটে একটি ভাড়া বাসা থেকে সিকদার লিটনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে প্রতারণা ও চাঁদাবাজি মামলার চারটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। এসব মামলায় সে দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলো।’
দেবাশীষ কর্মকার আরো জানান, ফরিদপুর, খুলনা ও পাবনা জেলায় চাঁদাবাজি, প্রতারণা ও প্রাণনাশের হুমকি, সাইবার অপরাধসহ প্রায় ডজনখানেক মামলা রয়েছে সিকদার লিটনের বিরুদ্ধে। ফেসবুকে বিভিন্ন ব্যক্তির নামে অপপ্রচার করে ব্ল্যাকমেইলিং এবং গ্রামের সহজসরল অনেক মানুষের সঙ্গে সরাসরি প্রতারণার অভিযোগে ডিজিটাল অ্যাক্ট আইনে দায়েরকৃত মামলার আসামি তিনি। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে দুই ডজনের বেশি সাধারণ ডায়েরি রয়েছে।
আরো পড়ুন: ধরাছোঁয়ার বাইরে সাত মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামি লিটন
এ ব্যাপারে আলফাডাঙ্গা উপজেলার চেয়ারম্যান একেএম জাহিদ হাসান বলেন, ‘স্থানীয়দের কাছে লিটন প্রতারক ও ছদ্মবেশী অপরাধী হিসেবে পরিচিত ছিল। সে এলাকার মানুষকে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরে চাকরি দেয়ার নাম করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। নিজেকে সে একটি পত্রিকার সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দিতো।’
জানা গেছে, ডিজিটাল অ্যাক্ট আইনে দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তার সিকদার লিটনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকায় সিআইডির নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরো পড়ুন: চাকরির আশ্বাস দিয়েও প্রতারণা করতো লিটন
বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ
