টিআইয়ের প্রতিবেদন
সরকারি কাজে ২৪ ভাগ মানুষকে ঘুষ দিতে হয়েছে
জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশ : ২৭ নভেম্বর ২০২০, ১১:৫৭
বাংলাদেশে গত ১২ মাসে সরকারি সেবা গ্রহণকারীদের ২৪ শতাংশ মানুষকে ঘুষ দিয়ে কাজ করতে হয়েছে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
ঘুষ লেনদেনের তালিকায় এশিয়ায় সবচেয়ে নিম্নে রয়েছে জাপান ও মালদ্বীপ। এ দুই দেশের মাত্র দুই শতাংশ মানুষ ঘুষ দিয়েছে। ভারতে এই হার ৩৯ শতাংশ, যা এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ।
এশিয়ার ১৭টি দেশের ২০ হাজার মানুষের ওপর জরিপ চালিয়ে ‘গ্লোবাল করাপশন ব্যারোমিটার (জিসিবি)’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি তৈরি করে সংস্থাটি। দেশগুলো হল : ইন্দোনেশিয়া, তাইওয়ান, মালদ্বীপ, ভারত, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, জাপান, নেপাল, মালয়েশিয়া, বাংলাদেশ, মঙ্গোলিয়া, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, মিয়ানমার, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম ও শ্রীলংকা। দেশগুলোর প্রতি চারজনের তিনজন মনে করে, দুর্নীতি তাদের দেশে প্রধান সমস্যা।
প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশের ৭২ শতাংশ মানুষ মনে করে, সরকারের দুর্নীতিই দেশের প্রধান সমস্যা। সর্বোচ্চ ইন্দোনেশিয়ার ৯২ শতাংশ মানুষ মনে করে দুর্নীতি তাদের দেশে প্রধান সমস্যা। দেশগুলোর ৩৮ শতাংশ মানুষ মনে করে, দুর্নীতি তাদের দেশে বাড়ছে এবং ২৮ শতাংশ মানুষ মনে করে, দুর্নীতি অপরিবর্তিত রয়েছে। জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৭টি দেশের ২০ হাজার মানুষের ওপর সমীক্ষা চালায় টিআই।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘুষ লেনদেনের ক্ষেত্রে এসব দেশে লিঙ্গগত ভিন্নতা রয়েছে। যেমন, নারীরা পাসপোর্ট কিংবা ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে ঘুষ প্রদান করে। অপরদিকে পুরুষরা স্বাস্থ্যসেবা ও ইউটিলিটি সেবায় বেশি ঘুষ দেয়।
এ জন্য তারা পুলিশের কাছে ধরনা দেয়। তবে শিক্ষাগ্রহণের ক্ষেত্রে পুরুষরা নারীদের চেয়ে বেশি ঘুষের আশ্রয় গ্রহণ করে। নারীদের চেয়ে ২.৫ গুণ বেশি ঘুষ পুলিশকে দেয় পুরুষরা।
এশিয়ার এই ১৭টি দেশে ভোট কেনাবেচাও সাধারণ বিষয় বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। গত পাঁচ বছরে এসব দেশে প্রতি ৭ জনে একজনকে ভোট কেনার জন্য অর্থের প্রস্তাব দেয়া হয়।
সমীক্ষায় মূলত পুলিশ, আদালত, সরকারি হাসপাতাল, পরিচয়পত্র সংগ্রহ ও অন্যান্য সেবা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। অংশগ্রহণকারীদের গত ১২ মাসে দুর্নীতি নিয়ে তাদের অভিজ্ঞতার কথা জানতে চাওয়া হয়।
বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ
