শিক্ষকের খামখেয়ালিতে শ্রমিক পরিবার অবরুদ্ধ
কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৮ জানুয়ারি ২০২১, ২২:১৩ আপডেট : ২৮ জানুয়ারি ২০২১, ২২:২০
দিনমজুর শ্রমিক পরিবারের বাড়ির তিন দিকে গভীর নালা কেটে তাদের চলাচলের পথ অবরুদ্ধ করার অভিযোগ ওঠেছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এতে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভুক্তভোগী বাড়ির মালিক ইউছুফ পরিবার পরিজন নিয়ে দুর্ভোগে রয়েছেন।
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের ৪ নং ওর্য়াডের তোরাবগঞ্জ গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
ভুক্তভোগী ইউছুফ তোরাবগঞ্জ গ্রামের আনোয়ারুল হকের ছেলে এবং পেশায় ইটভাটার শ্রমিক। অন্যদিকে অভিযুক্ত মো: রফিক একই গ্রামের বাসিন্দা এবং সদর উপজেলার কুশাখালি ইউনিয়নের ঝাউডগি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
বৃহস্প্রতিবার (২৮ জানুয়ারি) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গভীর নালা কাটায় নালায় পানি জমে রয়েছে। এই নালা তৈরির ফলে পিছনের একটি বাড়ির বাসিন্দাদের চলাচলের পথ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। বাসিন্দারা বাড়ি থেকে ঠিক মতো বের হতে পারছে না। ভুক্তভোগীর বাড়ির বেড়াগুলো ভেঙ্গে পড়ছে।
স্থানীয়ভাবে জানা যায়, তোরাবগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা ইউছুফ প্রতিবেশী আলমগীর থেকে ১৬ শতক জমি কিনে বাড়ি তৈরি করেন। প্রায় ৪ বছর ধরে তিনি পরিবার নিয়ে ওই বাড়িতে বসবাস করে আসছেন।
বাড়ির বাসিন্দা মুরশিদা বেগম বলেন, শিক্ষক মো: রফিকের ভাই দক্ষিণ কোরিয়া বিএনপির সাবেক সভাপতি মরহুম নুরুল আমিনের নিকট থেকে ক্রয় করা দুইশতক জমির ওপর দিয়ে তাদের বাড়ির চলাচলের পথ ছিল। নুুরুল আমিন প্রবাসে থাকার কারণে ওই জমির রেজিস্ট্রি সম্পন্ন হয়নি। এরপর নুরুল আমিন কোরিয়ায় মৃত্যুবরণ করার পর তার ছেলে শিবলু ও স্ত্রী রহিমা ওই দুইশতক জমি রেজিস্ট্রি করে দিবে বলে তাদের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নেন। কিন্ত এর মাঝে গত কয়েকদিন আগে রফিক মাস্টার লোকজন দিয়ে তাদের বাড়ির পথ কেটে ফেলে। বাধা দিলে তাদেরকে পিটিয়ে আহত করে। শেষে তাদের বাড়ির তিন দিকে কেটে গভীর নালা তৈরি করেন। এখন স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারি রফিক মাস্টার তাদের কাছে বিক্রিত দুইশতক জমিটি কিনেছেন।
এসময় তিনি অভিযোগ করেন, রফিক এখন তাদের বাড়ি তার নিকট বিক্রি করে চলে যাওয়ার জন্য নানাভাবে চাপ দিচ্ছেন।
এ বিষয় জানতে চাইলে তোরাবগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফয়সল আহমেদ রতন বলেন, ইটভাটার শ্রমিকের স্ত্রী মুরশিদা বেগম তাকে বিষয়টি জানিয়েছে। তিনি ওই শিক্ষককে পরিষদে আসার জন্য খবর দিয়েছি। কিন্ত তিনি নানা ব্যস্ততা দেখিয়ে আসেননি।
তিনি বলেন, ব্যক্তি সম্পত্তি হলেও কারো চলাচলের পথ বন্ধ করে দেওয়া খুুুুবই অমানবিক।
বাংলাদেশ জার্নাল/আর