ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

জাল সনদে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা উত্তোলনের অভিযোগ

  বগুড়া প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৭ এপ্রিল ২০২১, ২১:৪০

জাল সনদে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা উত্তোলনের অভিযোগ
সংবাদ সম্মেলন করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা

বগুড়ার শাজাহানপুরে হযরত আলী নামে এক মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে জাল সনদ করে সরকারি সুযোগ-সুবিধাসহ ভাতা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই অভিযোগ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা।

এদিন সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলী বলেন, বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার কাটাখালী গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মোজাফ্ফর রহমানের সনদ জাল করে নিজের নামে সনদ তৈরি করেছেন একই গ্রামের মৃত গফুর প্রামানিকের ছেলে হযরত আলী। এভাবে সকল প্রকার সরকারি সুযোগ-সুবিধাসহ ভাতা ভোগ করে আসছেন তিনি।

লিয়াকত আলী আরও বলেন, ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় শহীদ হন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফ্ফর রহমান। তিনি শহীদ হওয়ার মৃত্যুর পর তার পরিবারে বাবা-মা, ভাই-বোন ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। সে সময় মানবেতর জীবন যাপন করছিল পরিবারটি। তখন পরিবারটিকে আর্থিক সাহায্য সহযোগিতার প্রলোভন দেখিয়ে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মোজাফ্ফর রহমানের স্বাধীনতা সংগ্রামের সনদপত্র (আতাউল গণি ওসমানী স্বাক্ষরিত) জাল করে নিজের নামে সনদ তৈরি করেন হযরত আলী। এরপর ১৯৭৩ সালে রক্ষী বাহিনীতে যোগদান করেন তিনি।

পরবর্তী সময়ে রক্ষী বাহিনী বিলুপ্তির পর কৌশলে সেনাবাহিনীর সিগনাল কোরে যোগদান করেন। সেনাবাহিনীতে চাকরিরত অবস্থায় মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া সনদ মূলে সেনাবাহিনীর বিশেষ গেজেটে নিজেকে বগুড়ার শাজাহানপুরে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন। অথচ সারিয়াকান্দি উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার স্বপক্ষে কোনো সনদ বা দলিল পাওয়া যায়নি।

স্বাধীনতা সংগ্রামের সনদ ভারতীয় তালিকা বই নং এফএফ নং সেক্টর নং মুক্তি বার্তা নং গেজেট নং ও ডাটা বেইজ সম্পূর্ণ ভুয়া কাগজপত্র দাখিল করে সেনাবাহিনীর বিশেষ গেজেট মূলে বর্তমানে শাজাহানপুর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মাধ্যমে নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবী করে সকল প্রকার সরকারী সুযোগ-সুবিধা ও ভাতা ভোগ করে আসছেন।

মুক্তিযোদ্ধারা দাবী করেন, ১৯৭৩ সালে রক্ষী বাহিনীতে যোগদান করে বেসামরিক গেজেট মূলে মুক্তিযোদ্ধা না হয়ে সেনাবাহিনীর গেজেট মূলে কিভাবে মুক্তিযোদ্ধা হয় এটা বোধগম্য নয়। যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক, অপ্রাসাঙ্গিক, মিথ্যা ও ভুয়া। এমতাবস্থায় দুর্নীতিবাজ, প্রতারক হযরত আলীসহ যে সমস্ত মুক্তিযোদ্ধা ১৯৭১ সালের পরে সেনাবাহিনীতে ভর্তি হয়ে সেনা গেজেট মূলে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন সেই সমস্ত মুক্তিযোদ্ধাদেরকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে যাচাই-বাছাই এর আওতায় আনার দাবি জানান মুক্তিযোদ্ধারা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার গৌরগোপাল গোস্বামী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ, হাবিবর রহমান, আমজাদ হোসেন, বছির হোসেন, এএসএম মুসা, হরিপদ দাস, সিদ্দিকুর রহমান, আব্দুল হালিম, ইব্রাহীম হোসেন প্রমূখ।

বাংলাদেশ জার্নাল/আর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত