ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

রাজবাড়ীতে স্বাস্থ্যসম্মত সেমাই তৈরিতে ব্যস্ত শ্রমিকরা

  ইমরান হোসেন মনিম, রাজবাড়ী

প্রকাশ : ০৮ মে ২০২১, ১২:০৫

রাজবাড়ীতে স্বাস্থ্যসম্মত সেমাই তৈরিতে ব্যস্ত শ্রমিকরা
ছবি: প্রতিনিধি

যেকোনো উৎসবে অতিথি আপ্যায়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ মিষ্টি খাদ্য হিসেবে সুনাম রয়েছে সেমাইয়ের। চাহিদা থাকায় প্রতি বছরই রাজবাড়ীতে ঈদকে সামনে রেখে সেমাই কারখানাগুলো তাদের উৎপাদন আরো বৃদ্ধি করেন। এবছরও কারখানাগুলো তাদের লোকবল বাড়িয়ে স্বাস্থ্যবিধি ও স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে কোনো ধরনের কেমিক্যাল ও রং না মিশিয়ে সেমাই উৎপাদন করছেন। আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে তাই মহাব্যস্ত স্থানীয় সেমাই কারখানাগুলোর শ্রমিকরা।

কোভিডের কারণে রমজানের আগে উৎপাদন কিছুটা কম হলেও ঈদকে কেন্দ্র করে তাদের সেমাই উৎপাদন বেড়েছে কয়েকগুণ। রাজবাড়ীর চাহিদা মিটিয়ে এ সেমাইগুলো বিভিন্ন জেলাতে রপ্তানি করছেন ব্যবসায়ীরা।

রাজবাড়ী সদর উপজেলার রামকান্তপুরের বিসিক শিল্প নগরীতে চারটি সেমাই উৎপাদন কারখানা রয়েছে। এর মধ্যে দ্বীন ফ্লাওয়ার মিলসের মালিক কামিরুল ইসলাম তিনি তাদের কারখানায় নিজস্ব মিলে উৎপাদিত ময়দা দিয়ে স্বাস্থ্য সম্মত ও সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে ডায়মন্ড ও ফাইভ স্টার নামে দুটি ভিন্ন নামে সেমাই উৎপাদন করছেন। এখানে উৎপাদিত সেমাইয়ে কোনো ধরনের কেমিক্যাল ও রং মিশানো হয় না।

প্রথমে মেশিনে ময়দার সাথে গরম পানি মিশিয়ে কাঁচা সেমাই তৈরি করা হয়। এরপর কড়া রোদে শুকিয়ে আগুনের চুলাতে ভাজা হয়। এতে সেমাইগুলো বাদামি লালচে রং ধারণ করে। এ সেমাইগুলোতে কোনো অস্বাস্থ্যকর রং ব্যবহার করার প্রয়োজন পরে না। পরে করা হয় মোড়কীকরণ। তাই এর চাহিদাও রয়েছে নিজ জেলাসহ অন্যান্য জেলাগুলোতে। এ সেমাই কারখানাগুলোতে বর্তমানে ঈদকে সামনে রেখে উৎপাদন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত। উৎপাদন বাড়াতে বাড়িয়েছেন লোকবল।

উৎপাদিত সেমাই রাজবাড়ীসহ বিভিন্ন জেলাতে বিক্রি করছেন। এতে কোভিড কালীন সময়ের তাদের উৎপাদনে তেমন একটা ভাটা পড়েনি। কারখানায় কর্মচারীদেরও নিয়মিত পাওনা পরিশোধ করছেন। এতে সেমাই তৈরির সাথে জড়িত কর্মচারীরা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে ভালোভাবেই চলছেন। কাজী ফুডস, সোহান ফুডস ও শাওন ইন্ডাস্ট্রিজ এই কারখানাগুলো সেমাই উৎপাদন করেন রাজবাড়ীতে।

সেমাই কারিগরেরা বলেন, তারা বর্তমানে স্বাস্থ্যবিধি উপকরণ ব্যবহার করে ও স্বাস্থ্য সম্মত উপায়ে সেমাই তৈরি করছেন। এখানে উৎপাদিত সেমাইতে কোনো রং বা কেমিক্যাল মিশানো হয় না। করোনার মধ্যেও মালিক পক্ষ তাদের পারিশ্রমিক ভালোভাবে মিটিয়ে দেন নিয়মিত। এখানে কাজ করে তারা ভালো আছেন পরিবার নিয়ে।

সেমাই উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান দ্বীন ফুড প্রডাক্টস’র মালিক কামিরুল ইসলাম বলেন, তারা এই করোনার মধ্যেও স্বাস্থ্যবিধি ও স্বাস্থ্য সম্মত উপায়ে সেমাই তৈরি করছেন। ঈদকে সামনে রেখে সেমাইয়ের উৎপাদন আরো বেড়েছে। রং ও কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় না বলে এর চাহিদা রয়েছে বাজারে। চাহিদার কারণে উৎপাদিত সেমাই রাজবাড়ীসহ বিভিন্ন জেলাতে রপ্তানি করছেন। শ্রমিকদেরও স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে সেমাই উৎপাদন করতে পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

জিয়াউল হক জিয়া-শিল্প নগরী কর্মকর্তা রাজবাড়ী, তিনি বলেন, এই শিল্প নগরীতে চারটি সেমাই কারখানা রয়েছে। ঈদকে সামনে রেখে কারখানা মালিকেরা সেমাই উৎপাদন অব্যাহত রেখেছেন। কোভিডের মধ্যেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে এখানে সেমাই তৈরি করছেন। এতে তারা ভালো মুনাফা লাভ করতে পারবেন বলে আশা করেন। বিসিকের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হয় স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত