কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে তরুণীকে হয়রানির অভিযোগ

কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের (৩০) বিরুদ্ধে হুমকি, হয়রানি ও উত্ত্যক্তের অভিযোগে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন এক তরুণী।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় লিখিত অভিযোগটি দেয়া হয়। অভিযোগে আনোয়ারের পাশাপাশি তার ভাগনে নাজমুল হীরাসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৬-৭ জনের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।

হিটস্ট্রোকে প্রাণ গেলো দুই শ্রমিকের

জানা যায়, গত ৪ এপ্রিল জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে আদালতে ধর্ষণ মামলা করেছিলেন ওই তরুণী। পরে ফেসবুক লাইভে এসে লুৎফর রহমানকে নির্দোষ দাবি করেন তিনি। তরুণীর অভিযোগ, ফেসবুক লাইভে এসে ধর্ষণের বিষয়টি সঠিক নয় বলে বক্তব্য দেয়ায় তাকে হয়রানি করা হচ্ছে।

অভিযোগে তরুণী বলেছেন, কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, তার ভাগনে নাজমুল হীরাসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৬ থেকে ৭ জন দুই মাস ধরে তাকে নানাভাবে হয়রানি করে আসছেন। তারা প্রকাশ্যে হুমকি দেয়াসহ বিভিন্নভাবে ফোনকল এবং ফেসবুকে আপত্তিকর খুদে বার্তা পাঠানোর মাধ্যমে তাকে উত্ত্যক্ত করছেন। তার ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় মিথ্যা ও নোংরা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। দুই মাস ধরে তিনি আনোয়ার হোসেনের ভয়ে বাসা থেকে বের হতে পারছেন না। যে কোনো সময় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তার বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারেন।

তরুণী বলেন, আমার এলাকার বড় ভাই আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন। তার কথায় না বুঝেই লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলাম। পরে ভুল বুঝতে পেরে ফেসবুক লাইভে এসে সত্যিটা বলি। এরপর থেকেই আমাকে নানাভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, ওই তরুণী এর আগেও কমিটির এক সাংগঠনিক সম্পাদকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছিলেন। এরপর ফেসবুক লাইভে এসে দাবি করেন কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক তাকে দিয়ে মামলা করিয়েছেন।

ওই তরুণীর সঙ্গে কোনো সময় কথাই হয়নি দাবি করে আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, অভিযোগের বিষয়টি তিনি সাংবাদিকদের মাধ্যমে জেনেছেন। সংগঠনের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করার জন্য একেক সময় একেকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন ওই তরুণী।

লিখিত অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক বলেন, আমরা একটি অভিযোগপত্র পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে