রাজশাহীতে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে পরিবহন ধর্মঘট, দুর্ভোগে যাত্রীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ ডিসেম্বর ২০২২, ০৮:৪৮ আপডেট : ০২ ডিসেম্বর ২০২২, ০৮:৫৪
১০ দফা দাবিতে অনিদিষ্টকালের জন্য রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় দ্বিতীয় দিনের মতো পরিবহন ধর্মঘট চলছে হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে সকাল থেকে ছাড়েনি কোনো পরিবহন। গন্তব্যে যেতে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। বিকল্প যানবাহনে গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া।
পরিবহন নেতাদের দাবি, মহাসড়কে থ্রি-হুইলার ও পুলিশ হয়রানি বন্ধে বারবার বলা হলেও সরকারপক্ষ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি।
এর আগে গত শনিবার নাটোরে বিভাগীয় পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভায় ১০ দফা দাবি আদায়ে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়ে ধর্মঘটের ঘোষণা দেয়া হয়।
এদিকে বিএনপি নেতাকর্মীদের অভিযোগ, আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে তাদের বিভাগীয় সমাবেশে যেন নেতা কর্মীরা উপস্থিত হতে না পারে, এ কারণে ধর্মঘট। বিএনপি নেতাকর্মীরা আরও অভিযোগ করে বলছেন, পথে পথে গাড়িতে তল্লাশি করছে পুলিশ। রাস্তায় গাড়ি আটকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু জানান, ‘সমাবেশে নেতাকর্মীরা যাতে আসতে না পারে সে জন্য পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়েছে’।
এ বিষয়ে রাজশাহী পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মতিউল হক জানান, মহাসড়কে নছিমন, করিমন, ভটভটির মতো অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধ করাসহ ১০ দফা দাবিতে আল্টিমেটাম দিয়ে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছিল। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে তাদের দাবি পূরণ হয়নি। এই কারণে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। এ ধর্মঘটের আওতায় থাকবে সব যাত্রী ও পণ্যবাহী পরিবহন।
আরও পড়ুন...রাজশাহী বিভাগে পরিবহন ধর্মঘট চলছে
উল্লেখ্য, আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদরাসা মাঠে (হাজী মুহম্মদ মুহসীন উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে) বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ রয়েছে। আট শর্তে তাদের সেখানে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
দ্রব্যমূল্য, লোডশেডিং, দুর্নীতি, লুটপাট, ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা, বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তিসহ নয়টি দাবিতে এই সমাবেশের ডাক দিয়েছে বিএনপি। এর আগে চট্টগ্রাম, বরিশাল, রংপুর, সিলেট, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ ও খুলনায় বিভাগীয় গণসমাবেশ করেছে তারা।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় সব বিভাগে গণসমাবেশের সিদ্ধান্ত হয়। ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
গত ৮ অক্টোবর চট্টগ্রামে প্রথম কর্মসূচি পালন করে। এরপর ১৫ অক্টোবর ময়মনসিংহে। সর্বশেষ ২২ অক্টোবর খুলনায় গণসমাবেশ করে বিএনপি।
এরপর ২৯ অক্টোবর রংপুর, ৫ নভেম্বর বরিশালে, ১২ নভেম্বর ফরিদপুর, ১৯ নভেম্বর সিলেট, ২৬ নভেম্বর কুমিল্লা, ৩ ডিসেম্বর রাজশাহী এবং ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় গণসমাবেশের মধ্য দিয়ে বিএনপির তৃতীয় ধাপের কর্মসূচি শেষ হবে।
বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ