ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

এক্সপ্রেসওয়েতে তিনদিনে ৬৫ লাখ টাকা টোল আদায়

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৩:৩০  
আপডেট :
 ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৬:৫৯

এক্সপ্রেসওয়েতে তিনদিনে ৬৫ লাখ টাকা টোল আদায়
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের একটি টোলপ্লাজা। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে তিনদিনে টোল আদায় হয়েছে ৬৫ লাখ ৫৬ হাজার ৭২০ টাকা। বুধবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের পরিচালক এএইচএম সাখাওয়াত আখতার।

এর মধ্যে প্রথম দিন অর্থাৎ রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ২২ হাজার ৮০৫টি যানবাহন চলাচলে এক্সপ্রেসওয়ে ১৮ লাখ ৫২ হাজার ৮৮০ টাকা টোল আদায় হয়েছে।

দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করেছে ২৭ হাজার ১২১টি গাড়ি। এসব গাড়ি থেকে প্রায় ২১ লাখ ৯৭ হাজার ৪০ টাকা টোল আদায় করা হয়েছে।

তৃতীয় দিনে অর্থাৎ মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ২৫ লাখ ৬ হাজার ৮০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে। এই সময়ে মোট ৩০ হাজার ৯১৯টি যানবাহন চলাচল করেছে এক্সপ্রেসওয়েতে।

সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, তৃতীয় দিনে চলাচলকারী গাড়ির মধ্যে বিমানবন্দর থেকে বনানী, মহাখালী, ফার্মগেট পথে ১৫ হাজার ৬৯০টি, কুড়িল থেকে বনানী, মহাখালী ও ফার্মগেট পথে ৩ হাজার ৬১৯টি, বনানী থেকে কুড়িল-বিমানবন্দর পথে ২ হাজার ৮৯৮টি এবং তেজগাঁও থেকে মহাখালী, বনানী, কুড়িল ও বিমানবন্দরের পথে ৮ হাজার ৭১২টি গাড়ি ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচল করেছে।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দরের কাওলা থেকে তেজগাঁওয়ের ফার্মগেট পর্যন্ত অংশ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনিই প্রথম টোল দিয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পার হন। পরদিন রোববার উড়াল সড়কটি যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। এর আগে উড়াল সড়কের টোল নির্ধারণ করে সম্প্রতি প্রজ্ঞাপন জারি করে সেতু বিভাগ। এ টোল শুধু প্রথম ধাপের জন্য প্রযোজ্য হবে। এক্সপ্রেসওয়ের এই অংশ ব্যবহারের জন্য যানবাহনগুলোকে চারটি শ্রেণিতে ভাগ করে টোল দিতে হচ্ছে। সর্বনিম্ন টোল ৮০ টাকা ও সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা।

এর আগে ২০১১ সালের ১৯ জানুয়ারি এ প্রকল্পের প্রথম চুক্তি সই করা হয়। এই প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০১১ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। প্রকল্পের বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের ১৫ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে সংশোধিত চুক্তি সই হয়। প্রকল্পটি থাইল্যান্ড ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইটালিয়ান থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেড ৫১ শতাংশ এবং চায়না ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান শোনডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনোমিক গ্র্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশন গ্রুপ ৩৪ শতাংশ ও সিনোহাইড্রো কর্পোরেশন লিমিটেড ১৫ শতাংশ যৌথ উদ্যোগে নির্মিত হচ্ছে। প্রকল্পের মূল দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিমক ৭৬ কিলোমিটার। র‍্যাম্পসহ মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। প্রকল্পের মোট ব্যয় ৮৯৪০ কোটি টাকা যার ২৭ শতাংশ বাংলাদেশ সরকার এবং বাকি অংশ ভিজিএফ হিসেবে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করবে। তবে ভূমি অধিগ্রহণ, নকশা বদল, অর্থ সংস্থানের জটিলতায় ৪ বার সময় বৃদ্ধির ফলে ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৮৫৮ কোটি টাকায়।

আরও পড়ুন: দ্বিতীয় দিনে প্রায় ২২ লাখ টাকার টোল আদায় এক্সপ্রেসওয়েতে

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত